আওয়ামী লীগের সমাবেশে বাধার প্রশ্নে যা বললো যুক্তরাষ্ট্র!

সরকার পতনের তিন মাস পর, ১০ নভেম্বর প্রথমবারের মতো ঢাকায় একটি কর্মসূচির ডাক দেয় আওয়ামী লীগ। নিজেদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে পোস্ট দিয়ে নেতাকর্মীদের ওই কর্মসূচিতে অংশ নেয়ার আহ্বান জানায় দলটি। তবে আওয়ামী লীগের সেই কর্মসূচি প্রতিহত করেছে অন্তর্বর্তী সরকার এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বিষয়টি নিয়ে এবার মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এসব বিষয়ে কথা বলেন মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল।

ড. ইউনূসের সমর্থকরা এর আগে বাক ও সমাবেশের স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলেছে উল্লেখ করে ওই সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ‘১০ নভেম্বর ঢাকায় একটি রাজনৈতিক সমাবেশে আওয়ামী লীগ কর্মীদের বাধা দেয়ার সাম্প্রতিক পদক্ষেপকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে দেখছে?’

ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছে কোনো বার্তা আছে কি না, তা-ও জানতে চান তিনি।

জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র বলেন,
আমরা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ এবং ভিন্নমত ও বিরোধীমতসহ সবার মতামতকে সমর্থন করি। আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে, এসব স্বাধীনতা যেকোনো গণতন্ত্রের অপরিহার্য উপাদান।

দেশের সত্যিকারের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে সব বাংলাদেশির জন্য এ ধরনের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখা এবং রক্ষা করা অপরিহার্য বলেও মন্তব্য করেন তিনি। 

বেদান্ত প্যাটেলের সঙ্গে সাংবাদিকের প্রশ্নোত্তর।

এরপর, বাংলাদেশের অনেক সাংবাদিকের প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিলের বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় বেদান্ত প্যাটেলের কাছে।

 ওই সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ‘সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তারা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের ব্যুরো চিফসহ বাংলাদেশের ১৮৪ জন সাংবাদিকের প্রেস ক্রেডেনশিয়াল বাতিল করেছে। এমন পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশে সাংবাদিকদের নিরাপত্তার অধিকারকে সমর্থন করার জন্য এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর এই হস্তক্ষেপ মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র কি কোনো পদক্ষেপ বিবেচনা করছে?’ 
 
তিনি আরও বলেন, ‘এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে সম্প্রতি ড. ইউনূসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট (সিপিজে)। এ বিষয়ে আপনার বক্তব্য কি?’ 
 
জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, আমি এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনটি দেখিনি। তবে এটি সত্য হলে, তা দুর্ভাগ্যজনক। বাংলাদেশসহ যেকোনো জায়গায় যেকোনো পরিস্থিতি সঠিকভাবে তুলে ধরার জন্য মুক্ত সংবাদমাধ্যম অত্যাবশ্যক। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সবার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। সব সাংবাদিকের অধিকার এবং স্বাধীনতা যেন যথাযথভাবে সম্মানিত হয়; আমরা তা উৎসাহিত এবং নিশ্চিত করতে চাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *