দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ফিলিপাইন আবারও বিপদের মুখে। একের পর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগের আঘাতে বিধ্বস্ত এই দেশ, যেখানে মাত্র এক মাসের মধ্যে পাঁচটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছে। আর এবার, আরও দুটি ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ফিলিপাইনে আরও একটি ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে চলেছে, যা পঞ্চম ঘূর্ণিঝড় হিসেবে আঘাত করবে। এ কারণে, উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় শহরের বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি ইতোমধ্যেই শক্তিশালী হয়ে উঠেছে এবং ইতিমধ্যেই এতে ভারী বৃষ্টিপাত ও ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো বাতাস বইছে। ফিলিপাইনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ জানিয়েছে, এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বিপদজনক বন্যা হতে পারে, বিশেষ করে কানহাইয়ার নদীসহ অন্যান্য নদীতে পানি বাড়তে পারে, যা স্থানীয়দের জন্য আরও বড় বিপর্যয় সৃষ্টি করবে।
এছাড়া, এক সপ্তাহের ব্যবধানে আরেকটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আসছে, যা ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় অঞ্চলের দিকে ধেয়ে আসছে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, এই ঘূর্ণিঝড়টি ১৬ নভেম্বর শনিবার আঘাত হানতে পারে। এতে ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা সৃষ্টির কারণে কেন্দ্রীয় অঞ্চলের জনগণকে অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ফিলিপাইন প্রতি বছর গড়ে ২০টি ক্রান্তীয় ঝড়ের সম্মুখীন হয়। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে এখানে ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপ অনেক বেশি। এসব ঝড় সাধারণত তীব্র বৃষ্টিপাত, ঝোড়ো বাতাস এবং ভূমিধস সৃষ্টি করে, যা জীবন ও সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি করে।
এছাড়া, গত অক্টোবর মাসে ফিলিপাইনের লুজন দ্বীপে দুইটি টাইফুন আঘাত হানে, যার ফলে ১৫৯ জনের মৃত্যু হয় এবং ২২ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
এই দুটি নতুন ঘূর্ণিঝড় ফিলিপাইনে এক নতুন বিপদের মুখে দাঁড় করিয়েছে, এবং দেশটির জনগণ আবারও প্রস্তুতি নিচ্ছে।
Leave a Reply