সরাসরি ভোট হবে না মেয়র-চেয়ারম্যান পদে, ভাবা হচ্ছে সংসদীয় পদ্ধতি!

জাতীয় নির্বাচনের মতো স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও সংসদীয় পদ্ধতির কথা ভাবছে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কারবিষয়ক কমিশন। এই পদ্ধতিতে সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ—এসব স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ভোট হবে সদস্য বা কাউন্সিলর পদে। সদস্য বা কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হওয়ার পর আগ্রহীরা মেয়ের বা চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী হতে পারবেন এবং কাউন্সিলর বা সদস্যরা তাদের নির্বাচিত করবেন। নির্বাচিত হওয়ার পর মেয়র ও চেয়ারম্যানরা জবাবদিহি করবেন কাউন্সিলর বা মেম্বারদের কাছে।

কাউন্সিলর বা মেম্বারদের কাছে আস্থা হারালে মেয়র বা চেয়ারম্যানের পদ শূন্য হবে। তবে মেয়র, চেয়ারম্যানের পদ হারালেও তিনি কাউন্সিলর অথবা মেম্বার থেকে যাবেন। এ ছাড়া সব স্থানীয় সরকার নির্বাচন একই আইনে এবং জাতীয় নির্বাচনের আগেই করতে চায় সংস্কার কমিশন।

গতকাল শনিবার নির্বাচন ভবনে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের অন্যতম সদস্য ও স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. তোফায়েল আহমেদ সাংবাদিকদের কাছে এই চাওয়ার কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘আমরা নাগরিক সমাজের সঙ্গে মতবিনিময় করেছি। সেখানে সবার অভিমত হচ্ছে, স্থানীয় নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের আগে হওয়া উচিত। কারণ স্থানীয় নির্বাচন করার কারণে আমাদের কমিশনের সক্ষমতা বাড়বে। টেস্ট হয়ে যাবে।

এ ছাড়া জাতীয় নির্বাচনের জন্য স্থানীয় পর্যায়ে যে সাপোর্ট দরকার হবে, তা নিশ্চিত হয়ে যাবে।’
দেশে ইউনিয়ন পরিষদের সর্বশেষ নির্বাচনের সময়ও কালের কণ্ঠকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ড. তোফায়েল আহমেদ স্থানীয় সরকার নির্বাচন সংসদীয় পদ্ধতিতে করার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেছিলেন। সে সময় তিনি বলেছিলেন, ‘আমাদের কেন্দ্রীয় বা জাতীয় সরকার হচ্ছে পার্লামেন্টারি বা সংসদীয়। কিন্তু স্থানীয় সরকার হচ্ছে প্রেসিডেনশিয়াল বা রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারের মতো। এটা অসামঞ্জস্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *