উপরোক্ত ঘটনাগুলো বাংলাদেশের রাজনীতির এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়কে নির্দেশ করে, যেখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা ও সমন্বয়করা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গঠনের প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করেন। ৫ আগস্টের এই ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে কৃষিবিদ শেখ মুহাম্মদ মাসউদের বর্ণনা রাজনীতির ভেতরকার টানাপোড়েন, মতবিরোধ এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ার জটিলতাকে তুলে ধরেছে।
### **ঘটনার প্রেক্ষাপট** শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর দেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গঠন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতা ও সেনাসদরের ভূমিকা আলোচনায় আসে। সেনাসদরের আমন্ত্রণে বিভিন্ন দলের নেতারা বঙ্গভবনে যান। সেখানে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়।
### **কৃষিবিদ মাসউদের পর্যবেক্ষণ** মাসউদ উল্লেখ করেছেন, – **সেনাসদরে সংলাপ**: বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা প্রথমে সেনাসদরে উপস্থিত হন। সেখানে সেনাপ্রধানের অনুরোধে অধিকাংশ নেতা বঙ্গভবনে যেতে সম্মত হন। – **বঙ্গভবন যাত্রা**: বিভিন্ন দলের নেতারা ভিন্ন ভিন্ন গাড়িতে বঙ্গভবনে যান। ভীত-সন্ত্রস্ত পরিবেশে অনেকেই নিরাপত্তার কারণে নিজের পরিচয় আড়াল করতে সচেষ্ট ছিলেন। – **আলোচনা ও মতবিরোধ**: – জামায়াতের পক্ষ থেকে ছাত্রদের সঙ্গে আলোচনা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। – চরমোনাই পীর নিবন্ধিত দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে সরকার গঠনের পক্ষে মত দেন। – জাতীয় পার্টির জি এম কাদের ভুলক্রমে মার্শাল ল জারির প্রস্তাব দেন, যা পরে সংশোধন করা হয়। – আসিফ নজরুল ও জোনায়েদ সাকি ছাত্র নেতৃত্বের সঙ্গে সমন্বয়ের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। – **ভুয়া সমন্বয়কের প্রসঙ্গ**: মাসউদ উল্লেখ করেন, বঙ্গভবনে উপস্থিত অনেকেই প্রকৃত সমন্বয়ক ছিলেন না। তবে আসিফ নজরুলের ওপর দায় চাপানোকে তিনি বাড়াবাড়ি হিসেবে অভিহিত করেন।
### **রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিক্রিয়া** ৫ আগস্টের এই ঘটনাগুলো নিয়ে বর্তমানে সমালোচনা ও বিতর্ক চলছে। বিভিন্ন মহল আসিফ নজরুলসহ উপস্থিত নেতাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। তবে মাসউদ মনে করেন, তৎকালীন পরিস্থিতিতে সবার সিদ্ধান্ত ছিল তাৎক্ষণিক এবং পূর্বপরিকল্পিত নয়।
### **উপসংহার** ৫ আগস্টের ঘটনাগুলো বাংলাদেশের রাজনীতির এক অস্থির ও সংকটপূর্ণ সময়ের দলিল। কৃষিবিদ শেখ মুহাম্মদ মাসউদের এই বিবরণ সেই সময়কার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও নেতাদের মনোভাবকে বুঝতে সহায়তা করে। এটি ভবিষ্যতের গবেষণা ও বিশ্লেষণের জন্য একটি মূল্যবান সংযোজন।
Leave a Reply