৩৬-২৪-৩৬ জানুন এর মানে কি?

ওভারওয়েট একজন মেয়ে সায়রা। ফোনে তাহসীর নামের এক যুবকের সাথে প্রেম হয়। ছেলেটা বেশ কিছুদিন পর সায়রার সাথে সরাসরি দেখা করার জন্য এক্সাইটেড হয়ে যায়৷ কিন্তু সায়রার মধ্যে একটা শঙ্কা কাজ করে, যে তার এই মোটা শরীর দেখলে কি তাহসীরের সাথে এতদিনে যে সুন্দর সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায় নাকি । তাই তাহসীর দেখা করার তাগাদা দিলে সে নানা অযুহাত দিতে থাকে।

তারপর একদিন মনের মধ্যে শঙ্কা নিয়েই সায়রা দেখা করে তাহসীরের সাথে। সেদিন তারা সুন্দর কিছু সময় কাটায়৷ সায়রা ভেবে নেয়, তাহসীর তাকে পছন্দ করেছে। কিন্তু বাড়ি ফিরে তাহসীরকে ফোন বা মেসেজে কোথাও পায় না । একসময় জানতে পারে তাহসীর মারা গেছে৷ নিজের ইমপারফেক্ট শরীর নিয়ে হতাশায় ভোগা মেয়েটা বেশ কয়েক বছর ট্রমার মধ্য দিয়ে কাটায়। তাহসীরের মৃত্যুতে শেষ হয় না গল্পটা। গল্প ডালপালা মেলে সারপ্রাইজিং ভাবে৷

সিনেমাটিতে বেস্ট পারফর্ম করেছে কারিনা কায়সার। মূলত তাকে ঘিরেই গল্পটা। তার ইমোশনগুলোতে দর্শকরা বেশ কানেক্ট করতে পারবে। চরিত্র অনুযায়ী দিঘীর লুক, অভিনয়ও ভাল ছিল। আবু হুরায়রা, সৈয়দ জামান শাওন ও ভাল করেছে। কয়েকটা কমিক সিনও উপভোগ্য ছিল।

মূলত ” ৩৬২৪৩৬” নামের মাধ্যমে নির্মাতা রেজাউর রহমান সোসাইটিতে মেয়েদের জন্য পারফেক্ট শারীরিক মাপ তথা বিউটি স্ট্যান্ডার্ডকে স্যাটায়ার করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *