টয়লেটে ফ্ল্যাশ নিয়ে ভয়ংকর তথ্য উঠে এল গবেষণায়, জানা গেল বাঁচার উপায়!

টয়লেটে ফ্ল্যাশ করা দৈনন্দিন জীবনের একটি অংশ। তবে ফ্ল্যাশিং করা হলে সব ময়লা ড্রেনের মধ্যে দিয়ে নিচে চলে যায় না, অতিসূক্ষ ক্ষতিকর কণাগুলো আশপাশে এবং বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে। এসব ক্ষতিকর কণা ব্যাকটেরিয়ায় ভরা, অনেক সময় ভয়ংকর ভাইরাসও থাকে।

গবেষক মাসিমো বলেন, সাধারণত পাবলিক টয়লেটে ফ্ল্যাশিংয়ের সঙ্গে সঙ্গে শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী বায়ু তৈরি হয়। এতে করে অতিসূক্ষ ক্ষতিকর কণাগুলো বাতাসে মিশে বাথরুমে থাকা জিনিসপত্রের উপরে ছড়িয়ে পড়ে। এসব ক্ষতিকর কণা ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসে ভরা থাকে। খবর এনডিটিভির। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসক ড. জেন কডলের মতে, আমাদের মধ্যে অনেকেই হয়তো ফ্ল্যাশের সময় এই ভুল করছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি সঠিকভাবে ফ্ল্যাশ করার পরামর্শ দিয়েছেন।

টয়লেটের লিড (ঢাকনা) সম্পূর্ণ বন্ধ না করে ফ্ল্যাশ করা উচিত নয়। এই পরামর্শের পিছনে ভয়ঙ্কর কারণ ব্যাখ্যা করেন ওই গবেষক। এদিকে কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়াররা আবিষ্কার করেছেন, টয়লেটে ফ্ল্যাশ করার পরই বাথরুমে ঊর্ধ্বমুখী বায়ু তৈরি হয়। যা ছড়িয়ে পড়তে পারে পাশের কক্ষেও। ফ্ল্যাশিংয়ের পর কমোডের চারপাশে ক্ষতিকর কণা পাঁচ ফুট পর্যন্ত ছড়িয়ে যায়। এই কণাগুলোর মধ্যে জীবাণু, ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া এবং অন্যান্য পদার্থ থাকতে পারে। তাই বাথরুমের পরিবেশ স্বাস্থ্যকর রাখার জন্য লিড বন্ধ রাখার পরামর্শ দেন ওই গবেষকও। কথা বলা হয়।

তিনি বলেছেন, ‘সঠিক উপায়, আপনি যখন বাড়িতে নিজের বাথরুমে ফ্ল্যাশ করছেন, তখনও টয়লেট লিড বন্ধ করা উচিত। কারণ একাধিক মানুষের সঙ্গে আপনি থাকেন।’

‘যদি একাও থেকে থাকেন, তাও নিজের বাড়িতে জীবাণুর রাজত্ব ও বসতি কেউ চায় না, তাই ফ্ল্যাশ করুন লিড বন্ধ রেখে। পাবলিক টয়লেটে অনেক সময় লিড থাকে না, তখন কী করবেন? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ফ্ল্যাশ করেই দ্রুত বাথরুম থেকে বেরিয়ে যান।’

সামাজিক মাধ্যমে একজন বলেন, ফ্ল্যাশ করার আগে টয়লেট সিট জুড়ে টয়লেট পেপার বিছিয়ে দিতে পারেন, তাতে খানিক উপকার মিলবে। কেউ বলেন, টয়লেট কমোড বা প্যানের কাছাকাছি টুথব্রাশও রাখা উচিত নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *