থমথমে সীমান্ত, ভারতের সাথে বাংলাদেশের সীমান্তে রাতদিন টহল দিচ্ছে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির অতন্দ্র প্রহরীরা। এই সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে দফায় দফায় পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। পাশাপাশি, কূটনৈতিক পর্যায়েও চলছে আলোচনা। সীমান্ত এবং দুই দেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার মধ্যেই সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলেছেন ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী।Tourism guides
নিজের বক্তব্যে দুই দেশের সেনা পর্যায়ে এবং রাজনৈতিক সম্পর্ক নিয়েও কথা বলেছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘উই হ্যাভ টু কাইন্ডস অফ ডেপ্লয়মেন্ট কলড, সামার ডিপ্লয়মেন্ট এন্ড উইন্টার ডিপ্লয়মেন্ট’।
ভারত ও বাংলাদেশের সামরিক সম্পর্ক ও সহযোগিতা আগের মতোই আছে উল্লেখ করে ভারতের সেনাপ্রধান বলেছেন, দুই দেশের পারস্পরিক সার্বিক সম্পর্ক তখনই স্বাভাবিক হবে, যখন বাংলাদেশে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসবে।
সেনা দিবস পালনের আগে সোমবার সেনাবাহিনীর বার্ষিক সংবাদ সম্মেলনে, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পালাবদলের পর দ্বিপক্ষীয় ও সামরিক সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্নের জবাবে, দুই দেশের সম্পর্কের এমন অবস্থা বর্ণনা করেন দ্বিবেদী।
তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ ভারতের গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অংশীদার। কোনো ধরনের শত্রুতা দুই দেশের জন্যই ক্ষতিকর। তাতে কারো স্বার্থ চরিতার্থ হবে না। এসময় ভারত এবং বাংলাদেশকে প্রতিবেশী উল্লেখ করে বলেন, আমাদের দুই দেশকেই একসঙ্গে বাস করতে হবে। পরস্পরকে জানতে ও বুঝতে হবে। কোন ধরনের শত্রুতা কারো পক্ষেই ভালো নয়। শুধু তাই নয়, দুই দেশের সামরিক সম্পর্ক একেবারেই ঠিক আছে।
দেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন তিনি। গত আগস্টে রাজনৈতিক পালাবদলের সময় সবসময় যোগাযোগের মধ্যে ছিলেন তিনি। এমনকি, গেল ২৪ নভেম্বরও দুইজনের মধ্যে ভিডিও কনফারেন্সে আলোচনা হয়েছে। তারা সবসময় নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রেখেছেন, এখনো সেই যোগাযোগ অব্যাহত আছে।
বর্তমান পরিস্থিতির কারণে, দুই দেশের যৌথ সামরিক মহড়ার বিষয়টি শুধু পিছিয়ে দেয়া হয়েছে বলেও জানান ভারতের সেনাপ্রধান। পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলেই তা আবারো শুরু হবে।
দুই দেশের মধ্যে সামরিক সম্পর্ক ভালো এবং ঠিকঠাক থাকলেও সার্বিক সম্পর্ক প্রসঙ্গে ভারতের সেনাপ্রধান বলেন, নির্বাচিত সরকার এলেই তা স্বাভাবিক হবে। সম্প্রতি বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি সীমান্তে, ভারতের কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ নিয়ে চলছে উত্তেজনা। তবে শেষ পর্যন্ত বিজিবি এবং স্থানীয় জনতার বাধায়, বেড়া নির্মাণ না করেই পালিয়ে যায় বিএসএফ এর সদস্যরা। এই সমস্যা নিয়ে দুই দেশেই চলছে বিস্তর আলোচনা-সমালোচনা।
Leave a Reply