বাংলাদেশে মোবাইলে রিচার্জ, রেস্টুরেন্ট ও ওষুধের ওপর ভ্যাট বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হয়েছে। তীব্র সমালোচনার পর, অন্তর্বর্তী সরকার এই পদক্ষেপ থেকে সরে আসছে এবং ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নতুন নির্দেশনা দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), এবং শিগগিরই নতুন ভ্যাট হার প্রজ্ঞাপন আকারে জারি হবে।
পূর্বে ৯ জানুয়ারি, সরকারের পক্ষ থেকে প্রায় শতাধিক পণ্যের ওপর ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। এই তালিকায় জীবনরক্ষাকারী ওষুধের উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট ২.৪% থেকে বাড়িয়ে ৩% করা হয়েছিল। মোবাইলে কথা বলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর ২০% থেকে ২৩% সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল। রেস্টুরেন্টের সেবা খাতে ভ্যাট ৫% থেকে বাড়িয়ে ১৫% করা হয়েছিল।
এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীরা ব্যাপক প্রতিবাদ জানান এবং আন্দোলনের ঘোষণা দেন। এর মধ্যে জীবনরক্ষাকারী ওষুধের দাম বাড়ার আশঙ্কা এবং মোবাইল ও ইন্টারনেট খাতে ভ্যাট বৃদ্ধির কারণে সাধারণ মানুষের উপর চাপ বাড়বে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
আইএমএফ (আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল) বাংলাদেশকে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণের চতুর্থ কিস্তি ছাড়ের শর্ত হিসেবে কর-জিডিপি অনুপাত ০.২% বাড়ানোর পরামর্শ দেয়। এর মাধ্যমে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব আদায় করতে হবে। বাজেটের পদক্ষেপ হিসেবে করহার বাড়ানোর পাশাপাশি বকেয়া আদায় এবং মামলা নিষ্পত্তি করার মাধ্যমে এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে হবে।
এমতাবস্থায়, এনবিআর ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নেয়, তবে পরে সংশোধিত সিদ্ধান্তে মোবাইল রিচার্জ, রেস্টুরেন্ট ও ওষুধের ওপর ভ্যাট বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসা হয়েছে।
এখন নতুন আদেশ অনুযায়ী, মোবাইল রিচার্জ, রেস্টুরেন্টের সেবা ও জীবনরক্ষাকারী ওষুধের ওপর ভ্যাট বাড়ানো হবে না। ব্যবসায়ীদের উদ্বেগের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করছে। এ বিষয়ে এনবিআর নতুন আদেশ জারি করবে বলে জানা গেছে।
Leave a Reply