ফিরে আসা বোধ হয় একেই বলে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ব্যাট হাতে বড় পুঁজি পেলেও এক পর্যায়ে ম্যাচ প্রায় হেরেই বসেছিল ভারত। সেখান থেকে অবিশ্বাস্যভাবে ফিরে এসে টি-২০ বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছে তারা। এটি দলটির দ্বিতীয় টি-২০ বিশ্বকাপ শিরোপা। একইসঙ্গে ১১ বছর পর আইসিসির কোনো আসরের শিরোপার স্বাদ পেল তারা।
বার্বাডোজের কেনসিংটন ওভালে সাত উইকেটে ১৭৬ রান সংগ্রহ করে ভারত। জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারে আট উইকেটে ১৬৯ রানের বেশি করতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারতের দ্বিতীয় বিশ্বকাপ শিরোপা জয়ের ব্যবধান ৭ রান।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই রেজা হেনড্রিকস ও এইডেন মার্করামের উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। দুজনই ৪ রান করেন। কুইন্টন ডি কক ও ত্রিস্টান স্টাবস ৫৮ রানের জুটি গড়ে বিপর্যয় সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন।
অল্প সময়ের ব্যবধানে দুজনই আউট হলে আবার চাপে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। স্টাবস ৩১ ও ডি কক ৩৯ রান করেন। এরপর বাইশ গজে ঝড় তোলেন হেনরিখ ক্লাসেন। তার ব্যাটে ম্যাচ হাতের মুঠোয় নিয়ে আসে প্রোটিয়ারা।
তবে ৫২ রানে ক্লাসেন ফিরলে ম্যাচ ঘুরে যায়। একপর্যায়ে ৩০ বলে ৩০ রান প্রয়োজন ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। সেখান থেকে শেষ ১২ বলে লক্ষ্য দাঁড়ায় ২০ রান। পেনাল্টিমেট ওভারে মাত্র ৪ রান আসে। ফলে শেষ ৬ বলে ১৬ রান প্রয়োজন দাঁড়ায় তাদের।
হার্দিক পান্ডিয়ার করা শেষ ওভারের প্রথম বলে সূর্যকুমার যাদবের অবিশ্বাস্য ক্যাচে পরিণত হয়ে আউট হন দক্ষিণ আফ্রিকার শেষ ভরসা মিলার। পরের তিন বলে আসে ৬ রান। পরের বল ওয়াইড দেন পান্ডিয়া।
দুই বলে ৯, এমন অবস্থায় আউট হন রাবাদা। এই বলেই ভারতের বিশ্বকাপ জয় নিশ্চিত হয়ে যায়। আনুষ্ঠানিকতার শেষ বলে ১ রান নেন নরকিয়া।
আজ টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। পাওয়ার প্লে-তে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ভারত। রোহিত, পান্ট ও সূর্যকুমার যাদব কেউই বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারেননি।
এ অবস্থায় দলের হাল ধরেন কোহলি ও আক্সার প্যাটেল। দুজনে গড়েন ৭২ রানের জুটি। ফিফটির পথে থাকা আক্সার ডি ককের অবিশ্বাস্য থ্রোতে ৪৭ করে রান আউট হন। আক্সার না পারলেও ঠিকই অর্ধশতক পূরণ করেন কোহলি।
৫৯ বলে ৭৬ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন কোহলি। অন্যপ্রান্তে ২৭ রানের ক্যামিও খেলেন দুবে। প্রোটিয়াদের হয়ে মহারাজ ও নরকিয়া দুটি এবং রাবাদা ও জানসেন একটি করে উইকেট নেন।
Leave a Reply