এইমাত্র পাওয়া : হেলিকপ্টারে করে হাসপাতালে নেয়া হল ১১৪ জনকে!

স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পাওয়া চার ইসরায়েলি সেনাকে শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে রেডক্রসের মাধ্যমে তেল আবিবের কাছে একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। হেলিকপ্টারে করে তাদের সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়।

হাসপাতালের হেলিপ্যাডের কাছে ইসরায়েলি পতাকা ও ব্যানার নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন একদল মানুষ। মুক্তিপ্রাপ্ত নারীরা হেলিকপ্টার থেকে নামার পর তাদের দ্রুত ভ্যানে করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়। হেলিকপ্টারের চারপাশে গোপনীয়তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল।

তেল আবিবের হোস্টেজ স্কয়ার থেকে বিবিসির সংবাদদাতা অ্যালিস কুডি জানান, মুক্তিপ্রাপ্ত নারীদের দেখতে হেলিপ্যাডের কাছে জড়ো হওয়া লোকেরা তাদের মুক্তির খবরে উল্লাসে ফেটে পড়েন।

ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তিঅন্যদিকে, ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন শতাধিক ফিলিস্তিনি বন্দি। আল জাজিরা জানিয়েছে, মোট ২০০ বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার কথা থাকলেও শনিবার ইসরায়েল ১১৪ জনকে মুক্তি দিয়েছে।

মুক্তিপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনি বন্দিদের বাসগুলো রামাল্লার ঠিক পশ্চিমে বিতুনিয়া শহরে পৌঁছেছে। সেখানে তাদের স্বাগত জানাতে পতাকা হাতে জড়ো হয়েছিলেন বন্দিদের পরিবারের সদস্যরা।

বন্দিদের মধ্যে অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েলি কারাগারে বন্দি ছিলেন। মুক্তি পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ১২১ জনের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ ছিল এবং কয়েকজনকে ইসরায়েলি আদালত একাধিক খুনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করেছিল।

এছাড়া ১৯৮৬ সাল থেকে কারাগারে থাকা এক বন্দি দীর্ঘ ৩৯ বছর পর মুক্তি পেয়েছেন। মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ একজন মাত্র ১৬ বছর বয়সী।

প্রতিক্রিয়া ও রাজনৈতিক প্রভাবএ ধরনের বন্দি বিনিময়কে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত নিরসনের একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে এটি দুই পক্ষের মধ্যকার টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক চাপ আরও বাড়াতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

বন্দি বিনিময়ের এই কার্যক্রম আগামী দিনগুলোতে উভয় দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কী প্রভাব ফেলে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *