যে কারনে বিক্ষোভের ডাক দিলো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন!

ভারতে বাংলাদেশি এক নারীকে ধ-র্ষণ এবং হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের সামনে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। আন্দোলনকারীরা এক ক্ষুদে বার্তায় এই কর্মসূচির ঘোষণা দেয়।

ঘটনার বিবরণগত শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) কর্ণাটক রাজ্যের বেঙ্গালুরুর রামমূর্তি এলাকার কালকেরে লেকের কাছ থেকে বাংলাদেশি ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রাথমিক ধারণা, ওই নারীকে প্রথমে ধ-র্ষণ করা হয় এবং পরে হত্যা করা হয়।

নিহতের পরিচয়নিহত নারী উত্তর বেঙ্গালুরুতে তিন সন্তান ও স্বামীসহ বসবাস করতেন। তার স্বামী পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করতেন এবং ওই নারী একটি অ্যাপার্টমেন্টে গৃহকর্মীর কাজ করতেন। বৃহস্পতিবার কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে এই নৃশংস ঘটনা ঘটে বলে মনে করা হচ্ছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত নারী ছয় বছর ধরে বেঙ্গালুরুতে বসবাস করছিলেন। তবে তার বৈধ কোনো কাগজপত্র ছিল না। তার স্বামীর একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকলেও তিনি মেডিকেল ভিসায় ভারতে প্রবেশ করেছিলেন।

বিক্ষোভের কারণ ও বার্তাবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দায়ীদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে। তারা জানিয়েছেন, এ ধরনের ঘটনা শুধুমাত্র একটি দেশের নয়, এটি পুরো মানবতার বিরুদ্ধে। রাজু ভাস্কর্যের সামনে আজকের সমাবেশে যোগ দিতে তারা সর্বস্তরের মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

আন্তর্জাতিক প্রতিবাদের আহ্বানএই ঘটনার প্রেক্ষিতে আন্দোলনের নেতারা বাংলাদেশ ও ভারতের মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে যৌথভাবে পদক্ষেপ নিতে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এর সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

মানবাধিকার সংস্থা এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনও এই ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বলেছে, সীমান্ত পেরিয়ে এমন ভয়াবহ সহিংসতা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।

বাংলাদেশ সরকারের প্রতিক্রিয়াঘটনার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি পাওয়া যায়নি। তবে দেশটির রাষ্ট্রদূতকে বিষয়টি তদন্তে ভারতের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

এই জঘন্য ঘটনায় সকলের নজর এখন বিক্ষোভ সমাবেশ এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবি আদায়ের ওপর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *