ক্রমেই শক্তিশালী হয়ে উঠেছে ঘূর্ণিঝড় ‘বেরিল’। এরই মধ্যে মাত্র ৪২ ঘণ্টার মধ্যে এটি প্রবল আকার ধারণ করেছে ঘূর্ণিঝড়টি। ফলে ক্যাটাগরি ৪-এ পৌঁছানো ঘূর্ণিঝড়টিকে ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক’ বলে অভিহিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা। ধারণা করা হচ্ছে— ক্যারিবীয় অঞ্চলে ঘণ্টায় ১৭৯ থেকে ২০৯ কিলোমিটার বাতাসের গতিবেগ নিয়ে তাণ্ডব চালাতে পারে।
সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে— ঘূর্ণিঝড় বেরিল ইতিমধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব ক্যারিবীয় অঞ্চলের কাছে পৌঁছে গেছে। ফলে স্থানীয়দের নিরাপদে আশ্রয় নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
কলোরাডো স্টেট ইউনিভার্সিটির ঘূর্ণিঝড়-বিষয়ক গবেষক ফিলিপ ক্লটজবাচের মতে, স্থানীয় সময় রোববার (৩০ জুন) সকালে ক্যাটাগরি ৩ হারিকেনে রূপ নিয়ে ‘রেকর্ড’ (জুন মাসে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের হিসেবে) গড়ে বেরিল।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন বলছে, ‘বেরিল’ এখন পর্যন্ত আটলান্টিক মহাসাগরে রেকর্ড করা প্রথম এবং জুনমাসে রেকর্ড করা একমাত্র ক্যাটাগরি ৪ হারিকেন।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, পূর্ব আটলান্টিক মহাসাগর লাগোয়া উইন্ডওয়ার্ড দ্বীপপুঞ্জে সবার আগে আঘাত হানতে পারে এই ঘূর্ণিঝড়। ডমিনিকা, মার্টিনিক, সেন্ট লুসিয়া, সেন্ট ভিনসেন্ট এবং গ্রানাডাইনস ও গ্রেনাডার নিয়ে গঠিত উইন্ডওয়ার্ড দ্বীপপুঞ্জ। ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানার সময় এসব দেশের সমুদ্র উপকূলীয় এলাকায় উচ্চ ঢেউয়ের পাশাপাশি ভারী বৃষ্টিপাতের প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার খবরে মানুষজন বাড়িতে খাবার মজুত করতে শুরু করেছেন। ফিলিং স্টেশনে জ্বালানি তেলের জন্য মানুষের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে।
স্থানীয় সময় শনিবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে বার্বাডোসের প্রধানমন্ত্রী হারিকেন আঘাত হানার সময় বন্ধুবান্ধব, পরিবার ও প্রতিবেশীদের খবর নেয়া আহ্বান জানিয়েছেন।
Leave a Reply