যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তী সরকার শিগগিরই আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপ নিতে পারে। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে একটি ঐকমত্য তৈরি হয়েছে, বিশেষ করে দলের অগণতান্ত্রিক আচরণ এবং একগুঁয়েমি মনোভাবের কারণে। ৫ আগস্টের পর দেশের মানুষ এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দলটি নিষিদ্ধ করার বিষয়ে একমত হওয়া যায়, যার ফলে সরকারের জন্য এ ধরনের পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা সহজ হবে।
আসিফ মাহমুদ আরও উল্লেখ করেন যে, সরকার নির্বাহী আদেশে কোনো রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চারটি আইন আছে। তিনি জানান, বিচারিক প্রক্রিয়া ছাড়াও, জুলাই এবং আগস্টে গণহত্যায় আওয়ামী লীগের সম্পৃক্ততা প্রমাণিত হলে দলটির নিবন্ধন বাতিল এবং নিষিদ্ধ করার মতো ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। তিনি আশ্বস্ত করেন যে, সরকার প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে দ্রুত পদক্ষেপ নেবে এবং জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবে।
জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীদের একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়ে আসিফ মাহমুদ বলেন, এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি, তবে তারা এটি বিবেচনা করছে। তিনি আরও বলেন, যদি কোনো সরকারের প্রতিনিধিরা রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশ নেন, তবে তাদের সরকার থেকে পদত্যাগ করতে হবে, কারণ বর্তমান সরকার একটি সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের দায়িত্ব নিয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন যে, সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির জন্য সংস্কার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এবং সরকার এসব সংস্কারের মাধ্যমে নির্বাচনের ক্ষেত্র প্রস্তুত করার জন্য কাজ করছে।
যেহেতু সন্ত্রাস বিরোধী আইন ২০০৯ অনুযায়ী ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে, সেহেতু প্রশ্ন থেকেই যায়, আওয়ামী লীগকেও কী একই আইনে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হবে?
তথ্যসূত্রঃ https://www.facebook.com/100003374541890/posts/8835407656581631/?mibextid=rS40aB7S9Ucbxw6v
Leave a Reply