সবাইকে না জানিয়ে বিয়ে করেন সাজেদুল ইসলাম (২১) ও রিয়া খাতুন (১৯)। পরে বিয়ে মেনে নেন ছেলের পরিবার। তবে এর মধ্যে গেল রোববার তার এক দূরসম্পর্কের নানি সাজেদুলের বাড়িতে গিয়ে কটূক্তিমূলক নানা কথা বলেন। এতে অপমানবোধ করেন বিষপান করেন সাজেদুল ও রিয়া। হাসপাতালে নেয়ার পর রিয়ার মৃত্যু হয়। সাজেদুল এখনও চিকিৎসাধীন। তার অবস্থাও সংকটাপন্ন।
ঘটনাটি ঘটেছে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের চরগড়গড়ি গ্রামে। মৃত রিয়া একই ইউনিয়নের আজিজলতলা এলাকার লেরু মোল্লার মেয়ে। সাজেদুল চরগড়গড়ির আজতব প্রামাণিকের ছেলে। তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্বজনরা জানান, রোববার দুপুরে রিয়ার এক চাচির মা ভানু বেগম সাজেদুলের বাড়িতে যান। সেখানে তিনি নানা কটূক্তিমূলক কথা বলেন এবং থুতু ফেলে তাদের ভালোবাসার বিয়ের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করেন। সাজেদুল বাড়ি ফেরার পর বিষয়টি জানিয়ে কান্নাকাটি শুরু করেন রিয়া। অপমানে আবেগতাড়িত হয়ে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন তারা। সাজেদুল দোকান থেকে দুই বোতল কীটনাশক কিনে বাড়ি ফিরে দু’জনেই তা পান করেন। পরিবারের লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। অবস্থার অবনতি হলে পরে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রোববার রাতে সেখানেই রিয়ার মৃত্যু হয়। ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাজেদুল। ময়নাতদন্তের পর রিয়াকে শ্বশুরবাড়ির গ্রামে দাফন করা হয়েছে।
সাজেদুলের বাবা আজতব প্রামাণিক বলেন, ঘটনার দিন আমি মাঠে কাজে যাই। আমার মেয়ে অসুস্থ থাকায় তাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যায় রিয়ার শাশুড়ি। এই ফাঁকে সব ঘটে গেছে।
ঈশ্বরদী থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি। তবে ঘটনা তদন্ত করতে চরগড়গড়ি গ্রামে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
Leave a Reply