অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে ছাত্র-জনতার তোপে কার্যালয় ত্যাগ করেছেন দিনাজপুরের পার্বতীপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাতেমা খাতুন। বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এই ঘটনা। এ সময় উপস্থিত ছাত্র-জনতা ইউএনওর উদ্দেশে ‘ভুয়া ভুয়া’, ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ বলে স্লোগান দেন।
এর আগে বেলা ৩টার দিকে ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ আখ্যা দিয়ে ওই ইউএনওর অপসারণ দাবিতে উপজেলার শহীদ মিনার সংলগ্ন রাস্তায় বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যরা। মানববন্ধন শেষে তারা ইউএনওর অফিসে যান।
জানা গেছে, আন্দোলনকারীরা বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে প্রবেশ করে ইউএনওকে উদ্দেশ করে ‘ভুয়া ভুয়া’, ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকে। এরপর ইউএনও প্রশাসনের সহায়তায় অফিস ত্যাগ করেন।
পার্বতীপুর ফুলবাড়ি উপজেলার নাগরিক কমিটির প্রতিনিধি মো. তরিকুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘ইউএনও ফাতেমা খাতুন দীর্ঘদিন উপজেলায় একক স্বেচ্ছাচারিতার রাজত্ব কায়েম করেছেন। সরকারি যেকোনো কাজ করতে গেলে তাঁকে আলাদা ভাগ দেওয়া লাগে। এক কথায়, ইউএনও টাকা ছাড়া কোনো ফাইল ছাড়েন না।’
তরিকুল দাবি করেন, ‘আওয়ামী লীগের দোসরদের সঙ্গে তাঁর (ইউএনও) ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। এ সব নানা অনিয়মের অভিযোগে পর পর দুইবার তাঁর বদলি আদেশ হলেও অজ্ঞাত কারণে তা স্থগিত হয়।’
তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় নেতাদের পরামর্শে মানববন্ধন করে তাঁকে অফিসে থেকে বের করে দেওয়া হয়ছে এবং বাংলো ছেড়ে দিতে আল্টিমেটাম দেওয়া হয়ছে।’ তিনি জানান, ইউএনওর বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে।
এসব বিষয় নিয়ে ইউএনও ফাতেমা খাতুন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এখানে তরিকুল ইসলাম নামে একজন কিছু ভুয়া কথা জাহির করে কিছু মানুষকে উত্তেজিত করছেন। নাগরিক কমিটির ব্যানারে তিনি বিভিন্ন অফিসে গিয়ে হুমকি-ধমকি দিয়ে যাচ্ছেন। তাদের সঙ্গে তেমন কোনো ছাত্র সমাজ ছিল না, দুই-চারজন ছাত্র ছিল। আমি তাদের ওপর কোন বল প্রয়োগ করিনি।’
সরকারি বাংলোতে আছেন জানিয়ে ইউএনও বলেন, ‘পুলিশ টহলে রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।’
Leave a Reply