খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ছাত্রদল ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং সংঘর্ষের ঘটনায় কমপক্ষে ১৫ জন আহত হন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ‘ছাত্র রাজনীতির ঠিকানা, এই কুয়েটে হবে না’ এবং ‘দাবি মোদের একটাই, রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস চাই’—এমন স্লোগান দিতে দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো প্রদক্ষিণ করেন। পরে তারা উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
এরই জেরে বিকেল পৌনে ৪টার দিকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাধে। উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে এবং সংঘর্ষের সময় কয়েকজনের হাতে ধারালো অস্ত্র (রামদা) দেখা যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।
সংঘর্ষের পর সাধারণ শিক্ষার্থীরা ১৮ জনকে হামলার জন্য দায়ী করে তাদের আজীবন বহিষ্কার ও ছাত্রত্ব বাতিলসহ চার দফা দাবি জানিয়েছে। তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে—ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া।
এ বিষয়ে খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কবির হোসেন জানান, কুয়েটে ছাত্রদের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে এবং সংঘর্ষ হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাজ করছে।
Leave a Reply