free tracking

ঈদের পর দুর্বার আন্দোলনের হুঁশিয়ারি বিএনপি নেতার!

সিলেটের প্রতি উন্নয়ন বৈষম্য না কমালে ঈদের পর জনগণকে নিয়ে দুর্বার আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সিলেট নগরের কুমারপাড়ায় নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দেন তিনি।

এক দেশের দুই নীতি হতে পারে না মন্তব্য করে আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘একই দেশের দুই নীতি হতে পারে না। বাংলাদেশে বিমান ও বেসরকারি খাতের যেসব বিমান আছে তারা ঢাকা-চট্টগ্রাম রুট, ঢাকা-রাজশাহী বা ঢাকা- সৈয়দপুর ফ্লাইটের ক্ষেত্রে কোথাও টিকিটের মূল্যে হেরফের হয় না।

কিন্তু সিলেটের বেলা শেয়ারবাজারের মতো টিকিটের দাম উঠানামা করে। বেসরকারি বিমানগুলোর ক্ষেত্রে তো বলারই অপেক্ষা রাখে না। তাদের কাছে যেন সিলেটের মানুষ জিম্মি। তারা যেভাবে চাইবে সেভাবে আমাদের ব্যবহৃত হতে হবে।

এ সময় তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, ‘গত পরশু দিনের (২২ ফেব্রুয়ারি) একটি পরিসংখ্যান দেখা যায় ইউএস-বাংলায় সিলেট থেকে ঢাকার ভাড়া ১৯ হাজার ৪০ টাকা এবং নভোএয়ার ২১ হাজার ৬৫০ টাকা ছিল। একই দিনে ইউএস-বাংলায় ঢাকা থেকে সিলেট আসার টিকিটের দাম রাখা হয়েছে ২১ হাজার ৮৬০ টাকা। কখনো ২১ হাজার, কখনো ১৯ হাজার, কখনো ৬ হাজার। প্রতিদিনই তাদের রেট উঠানামা করে।


বিমান বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিমান যদি একই দিনে সাড়ে ৩ হাজার টাকায় যাত্রী পরিবহন করতে পারে তাহলে বেসরকারি বিমানগুলো কেন বেশি টাকা নিচ্ছে। তিনি আমাকে বলেছেন-তারা ফ্ল্যাট রেট করে ফেলবেন। কিন্তু আমার প্রশ্ন হচ্ছে সিলেটবাসীর সঙ্গে এই বৈষম্য কেন?
সিলেট উন্নয়ন বৈষম্যের শিকার হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘প্রায় ১৭ বছরে কোম্পানীগঞ্জ-তেমুখি বাইপাস নিয়ে অনেক বলাবলির পরেও এখনো নাকি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জমি অধিগ্রহণ শেষ হয়নি, সেটা প্রক্রিয়াধীন! ঢাকা-সিলেট হাইওয়ের ক্ষেত্রে বলা হচ্ছে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে এখনো তারা জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত জটিলতায় রয়েছেন। সড়ক ও জনপথ বিভাগ এসব দোহাই দিচ্ছে কাজে অগ্রসর না হওয়ার জন্য। আমার প্রশ্ন হচ্ছে-জেলা প্রশাসনের কোনো বিভাগে, যদি কোনো কারণে সেটা হয়ে থাকে তাহলে তা জনসম্মুখে প্রকাশ করা হোক।

কি কারণে এত বিলম্ব হচ্ছে। এই মহাসড়কের ২৩ কিলোমিটার জায়গা অধিগ্রহণের প্রয়োজন নেই, কিন্তু সেই জায়গায়ও কাজ শুরু হয়নি।’
আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘সিলেটে ভূগর্ভস্থ বিদ্যুৎ লাইনের প্রকল্প বেশ প্রশংসিত হয়েছিল। কিন্তু পরে তা সিলেট থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘শুধু তাই নয় বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় অন্যান্য জায়গায় যেখানে কোটি কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে সেখানে সিলেটের কোনো প্রকল্প নেই। এছাড়া প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেটের বিমান ভাড়ার ক্ষেত্রেও দেখা যাচ্ছে বৈষম্য।’

আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট সরকারের মতো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও সিলেটের সাথে বৈষম্য করছে অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ‘যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে এই বৈষম্যের শিকার হতে হচ্ছে সিলেটবাসীকে। এমনটি চলতে থাকলে সিলেটের মানুষ জানে কিভাবে তাদের অধিকার আদায় করে নিতে হয়।’

তিনি সরকারকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘ঈদের আগে এসব বৈষম্য নিরসনে ব্যবস্থা নিতে হবে। যদি নেওয়া না হয় তবে ঈদের সিলেটবাসীকে নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *