যাত্রাবাড়ী থানার হত্যা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত। বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহের আদালত তাকে গ্রেপ্তার দেখান। তবে এ মামলায় আদালতে হাজিরার পর আইনজীবীর ওপর বিরক্ত হয়ে মেজাজ হারান তিনি। হাজিরা দিতে এসে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে তিনি দুই পৃষ্ঠার কাগজ পড়ে নিজের প্রতিষ্ঠানের জমি অধিগ্রহণের তথ্য জানতে পেরেছেন।
এ দিন হাজী সেলিমসহ অন্য আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। পরে ১০টা ৬ মিনিটে পুলিশ প্রহরায় হেলমেট, বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও হ্যান্ডকাফ পরিয়ে হাজতখানা থেকে বের হয়। আদালতে তোলার পর হাজী সেলিমের হেলমেট খুলে দেয় পুলিশ। তখন কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে তিনি নিজের আইনজীবীর প্রতি বিরক্ত প্রকাশ করেন।
তিনি মেজাজ হারিয়ে নানা ধরনের অঙ্গভঙ্গি করতে থাকেন। মাঝে-মধ্যে নিজের হাতের আঙুল দিয়ে বিভিন্ন কিছু বুঝানোর চেষ্টা করেন। পরে তাকে যাত্রাবাড়ী থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তখন তার আইনজীবী প্রাণ নাথ কথা বলার জন্য আদালতের অনুমতি প্রার্থনা করেন।
পরে আদালতের অনুমতি নিয়ে কাঠগড়ায় তার আইনজীবী দুই পৃষ্ঠার প্রিন্ট করা কাগজ তাকে পড়তে দেন। এ সময় আইনজীবীরা তাকে বুঝিয়ে দেন। পরে ১০টা ৩৮ মিনিটে ফের পুলিশ প্রহরায় তাকে আদালত থেকে হাজতখানায় নেওয়া হয়। এ বিষয়ে তার আইনজীবী প্রাণ নাথ বলেন, পটুয়াখালীর পায়রা বন্দর সংলগ্ন এলাকায় তার মালিকানাধীন মদিনা মেরিটাইমের নামে সাড়ে ১০ একর জমি রয়েছে। এই জমি সরকার অধিগ্রহণ করে নেওয়ার খবরটি তাকে জানানো হয়েছে।
এ ছাড়া এই প্রতিষ্ঠানের জন্য আরো সাড়ে ১০ একর জমি ক্রয়ের রেজিস্ট্রেশন করা হবে, এই তথ্যও তাকে কাগজে লিখে জানানো হয়েছে।
হাজী সেলিম কেন বিরক্ত এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তিনি কারাগারে তেমন সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে না। তিনি কথা বলতে পারেন না। এমনকি তার কথাও কেউ বুঝতে পারে না। এসব কারণে তিনি বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। কিন্তু আমাদের তো এখন কিছু করার নেই। যতটুকু পারছি আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে তার সুযোগ-সুবিধার বিষয়টি দেখছি।
Leave a Reply