বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) শেষ হয়েছে প্রায় মাসখানেক আগে। কিন্তু এখনো তার রেশ রয়ে গেছে। তবে এই ‘রেশ’ নেতিবাচক। কারণ পারিশ্রমিক ইস্যুতে এবার বোমা ফাটিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি।
বিপিএলের দল চিটাগং কিংসের শুভেচ্ছাদূত এবং মেন্টর হিসেবে যা অর্থ পাওয়ার কথা, তার পুরোটা এখনো পাননি বলে দাবি করেছেন তিনি। চিটাগং দলের কর্ণধারের কাছ থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে বিসিবির দারস্থ হয়েছেন পাকিস্তানের এই কিংবদন্তি ক্রিকেটার। বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদকে ই-মেইল করে সহায়তা চেয়েছেন তিনি।
রোববার (২ মার্চ) দেশের একটি অনলাইন পোর্টালের কাছে আফ্রিদি দাবি করেছেন, ‘আমার সঙ্গে চুক্তি ছিল ১ লাখ ডলারের। কথা ছিল, বাংলাদেশে পা রাখার পর ৫০ হাজার ডলার দেওয়া হবে, টুর্নামেন্ট চলার সময় বাকি ৫০ হাজার দেবে। কিন্তু আমাকে মোটে ১৯ হাজার ডলার দেওয়া হয়েছে। কালকে দেব, দুই দিন পর দেব- এসব বলে বলে বারবার ঘোরানো হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী সব দায়িত্ব আমি পালন করেছি। টাকা দেওয়া হয়নি। সামিরের আচরণে হতবাক হয়ে গেছি। এমন কিছু আশা করিনি।’
‘টুর্নামেন্টের মাঝপথে আমি একটা কাজে দেশে ফিরে আসি। সামিরের সঙ্গে কথা ছিল, ১৯ জানুয়ারি ফিরে যাব বাংলাদেশে। কিন্তু বারবার যোগাযোগ করার পরও তারা আর টিকেট পাঠায়নি। এখন তো সামিরের সঙ্গে যোগাযোগের অনেক চেষ্টা করেও কোনো সাড়া পাচ্ছি না। দুই-তিন দিন আগে এটা আমি বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদকে লিখিত জানিয়েছি। প্রয়োজন হলে আমাদের প্রধানমন্ত্রী আর বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টাকেও লিখব’-যোগ করেন আফ্রিদি।
আফ্রিদি বলেন, বাংলাদেশ ও বিপিএলের ভাবমূর্তির কথা ভেবে এতদিন তিনি ব্যাপারটি প্রকাশ করেননি।
আফ্রিদির অভিযোগের প্রসঙ্গে চিটাগং কিংসের কর্ণধার সামির কাদের চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি শুরুতে বলেন, ‘২১ হাজারের মতো দেওয়া হয়েছে। বাকিগুলোও পেয়ে যাবে, এমন তো নয় যে পাবে না। উনি তো আর ক্রিকেটার নন, উনারটা উনি পেয়ে যাবেন। দেয়ার ইজ নো ডিসপিউট। যার যার তাড়া থাকতেই পারে।’
প্রসঙ্গত, এবারের বিপিএলে পারিশ্রমিক ইস্যুতে সবচেয়ে বেশি জলঘোলা করেছে দুর্বার রাজশাহী। দলটির বিদেশি ক্রিকেটাররা যথাসময়ে পারিশ্রমিক না পেয়ে ম্যাচ বর্জনও করেছিলেন। এদিকে চিটাগং কিংসও জাতীয় দলের ক্রিকেটার পারভেজ হোসেন ইমনের পারিশ্রমিক নিয়ে গড়িমসি করে।
Leave a Reply