free tracking

সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে যেভাবে চাঁদা দেওয়া থেকে মুক্তি পেলেন ব্যবসায়ী!

ফাতেমা ট্রান্সপোর্টের স্বত্ত্বাধিকারী রাকিবুল ইসলাম সম্প্রতি সেনাবাহিনীর সহায়তায় চাঁদাবাজির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন। যার পুরো প্রক্রিয়াটি তিনি বর্ণনা করেছেন এক সাক্ষাৎকারে…

‘আশুলিয়া অঞ্চল হচ্ছে উৎপাদনমুখী অঞ্চল। এখান থেকে দিনে প্রায় ৫০ থেকে ১০০ কোটি টাকার মালামাল বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় আমরা পৌঁছে দেই। এই ট্রান্সপোর্টেশন করতে গেলে আমাদের বেশ কিছু প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়। যে জন্য আমাদের কর্মকাণ্ডে ব্যাঘাত ঘটে। যেমন, আমরা প্রতিদিন এখান থেকে গুলিস্তান বা গাজীপুর গেলে সেখানে বিভিন্ন সিটি কর্পোরেশনের নামে ভুয়া রিসিট, হাতে লাঠিসোটা নিয়ে প্রায় প্রত্যেক গাড়ি থেকে ৫০০-৬০০ টাকা চাঁদা চায়। যদি চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি কিংবা একটু দেরীও হয়, আমাদের গাড়ির গ্লাস, লুকিং গ্লাস এগুলো ক্ষতিগ্রস্ত করে। যার ফলে আমরা অর্থনৈতিক ভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ি। আমাদের গাড়িতে মালামাল থাকে কোটি কোটি টাকার। ফলে মারাত্মক একটা ঝুঁকির মধ্যে কাটাতে হত আমাদের। গত ৫ বছরে এভাবে কোটি কোটি টাকা আমি চাঁদা দিয়েছি।’

এই পরিস্থিতি থেকে বের হলেন কিভাবে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরে দেশে নতুন শাসনব্যবস্থা আসলে আমি গত অক্টোবর মাসের ২০ তারিখে গুলিস্তানে দায়িত্বপ্রাপ্ত যারা ছিলেন তাদের কাছে অভিযোগ দায়ের করি। অভিযোগটা গ্রহণ করেন সেখানকার সেনাবাহিনীর ক্যাম্প কমান্ডার এবং ঐ অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত যে যৌথবাহিনী বা সেনাবাহিনী আছেন তারা। পরবর্তীতে অভিযোগটি যাচাই বাছাই করে এর সত্যতা পান তারা। তারই ধারাবাহিকতায় আমার কাছ থেকে তথ্য নিয়েছে এবং আমাকে আশ্বস্ত করেছে যে এরপর থেকে আপনি আর কাউকে চাঁদা দিবেন না। এটা সম্পূর্ণ একটি অবৈধ প্রক্রিয়া। আপনাকে কোনো হুমকি দিলে অবশ্যই আমাদের সহযোগীতা নিবেন।’’
তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনী তৎপর হওয়ার পরের দিন থেকেই আমার কোনো গাড়ি থেকে চাঁদা নেওয়া হয়নি। ঐ সময়ে আর্মির কয়েকটা টীম উপস্থিত ছিলো। আমি মন থেকে সেবাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানাবো।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *