রমজান মাসে মুসলিমরা তাদের ধর্মীয় কর্তব্য হিসেবে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার থেকে বিরত থাকেন। তবে, বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে দিন ও রাতের দৈর্ঘ্য আলাদা হওয়ায় রোজার সময়কালও ভিন্ন। কিছু দেশে, বিশেষ করে যেখানে দিন খুবই ছোট, সেখানে রোজা রাখা হয় তুলনামূলকভাবে কম সময়।
নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ মেরু অঞ্চলের দেশগুলো:
নিউজিল্যান্ড এমন একটি দেশ যেখানে রোজার সময়কাল সবচেয়ে কম। এখানে মুসলিমরা সাধারণত মাত্র ১১ ঘণ্টা রোজা রাখেন। এখানকার দিনগুলো ছোট হওয়ায়, দিনের শুরু এবং শেষের মাঝে সাশ্রয়ী সময় রয়েছে। এখানকার মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য এটি খুবই উপকারী, কারণ তারা রোজা রাখার সময়টিতে খুব বেশি অসুবিধার সম্মুখীন হন না।
চিলি:
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ চিলিতেও রোজার সময়কাল খুবই স্বল্প। চিলিতে রোজা রাখার সময় প্রায় ১১ ঘণ্টা। এখানে উষ্ণ ঋতুর কারণে দিনের দৈর্ঘ্য কম থাকে, বিশেষ করে রমজান মাসে, যা মুসলিমদের জন্য রোজা রাখা সহজ করে তোলে। এছাড়াও, চিলির মুসলিমরা রোজা রাখার সময়ে বিশেষভাবে খাদ্যাভ্যাস ও শরীরের যত্নে বেশি মনোযোগ দেন।
দক্ষিণ আফ্রিকা:
দক্ষিণ আফ্রিকাতেও রোজার সময় কম। এখানে রোজা রাখা হয় প্রায় ১২ ঘণ্টা, যা অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় তুলনামূলকভাবে স্বল্প সময়। দেশটির গ্রীষ্মকালীন সময়ে দিনের দৈর্ঘ্য ছোট হওয়ায় রোজার সময়ও কম থাকে। দক্ষিণ আফ্রিকার মুসলিমরা এ সময়ে সহজেই রোজা পালন করতে পারেন, কারণ এখানে রোজার সময় কাটানোর জন্য তীব্র গরম বা দিনব্যাপী ক্ষুধার যন্ত্রণা খুব বেশি অনুভূত হয় না।
স্বল্পতম রোজার সময়কাল: সুবিধা ও চ্যালেঞ্জ
স্বল্পতম রোজার সময়কাল মুসলিমদের জন্য বিশেষ সুবিধা এনে দেয়। দিনে দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকা, খিদে বা তৃষ্ণায় ক্লান্তি অনুভব না হওয়া রোজাদারের জন্য কিছুটা সহজ হয়। তবে, তা সত্ত্বেও, ছোট দিনও মনের দৃঢ়তা এবং সহ্য ক্ষমতা প্রয়োজন। রোজার সময়, খাবার ও পানীয়ের প্রতি নিয়ন্ত্রণ এবং আত্মশুদ্ধির প্রক্রিয়াটি সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
যদিও রোজার সময় খুব ছোট, তথাপি এর ধর্মীয় গুরুত্ব অপরিবর্তিত থাকে এবং মুসলিমরা তাদের ইবাদত ও আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে রোজা পালন করে থাকেন।
Leave a Reply