রমজান মাসে সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতারে মুখরোচক খাবার খাওয়ার প্রবণতা অনেক বেশি থাকে। বিশেষ করে, ভাজা-পোড়া আইটেম যেমন সমুচা, পিয়াজু, বেগুনি, চপ ও পুরি ইফতারের তালিকায় অত্যন্ত জনপ্রিয়। তবে অতিরিক্ত তেলে ভাজা এসব খাবার স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
ভাজা-পোড়া খাবারের ক্ষতিকর দিক
হজমে সমস্যা: দীর্ঘ সময় উপবাসের পর অতিরিক্ত তেলযুক্ত খাবার খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে। অ্যাসিডিটি, গ্যাস ও বদহজমের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ওজন বৃদ্ধি: ভাজা-পোড়া খাবারে ক্যালোরির পরিমাণ বেশি থাকায় এটি দ্রুত ওজন বৃদ্ধি করতে পারে। নিয়মিত এসব খাবার খেলে স্থূলতার ঝুঁকি বাড়ে।
হৃদরোগের ঝুঁকি: অতিরিক্ত তেলে ভাজা খাবারে ট্রান্স ফ্যাট ও স্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি থাকে, যা কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
ডায়াবেটিসের ঝুঁকি: এই ধরনের খাবার ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে, যা টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়।
লিভারের সমস্যা: অতিরিক্ত তেল ও চর্বিযুক্ত খাবার লিভারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে, যা ফ্যাটি লিভারের কারণ হতে পারে।
ইফতারে করণীয়
ভাজা-পোড়ার পরিবর্তে পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যকর খাবার যেমন খেজুর, ফলমূল, দই ও শস্যজাতীয় খাবার খাওয়া উচিত। বেশি পরিমাণ পানি ও শরবত পান করে শরীরকে হাইড্রেট রাখা দরকার। গ্রিল বা সেদ্ধ করা খাবারকে ইফতারের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করুন। বাসায় স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে তৈরি কম তেলে ভাজা খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। বেশি তেল ও চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করে প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খান, যা শক্তি ধরে রাখতে সাহায্য করবে।
ইফতারে ভাজা-পোড়া খাবারের লোভনীয় স্বাদ উপভোগ করা গেলেও, এর দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণের মাধ্যমে সুস্থ থাকা সম্ভব, যা শরীরের জন্য উপকারী হবে এবং রোজার উপকারিতা বজায় রাখবে।
Leave a Reply