নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে হবে তা নিয়ে একাধিক মন্তব্য করেছেন প্রেস সচিব। প্রেস সচিব জানান, নির্বাচন আয়োজনের জন্য নির্ধারিত সময়সীমা ২০২৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত হতে পারে। তবে এই সময়সীমা নির্ধারণে অনেকগুলো পরিবর্তন এবং রাজনৈতিক দলের মধ্যে আলোচনা প্রক্রিয়া রয়েছে।
প্রেস সচিব বলেন, “প্রফেসর ইউনুস এবং সেনাপ্রধান অনেক আগেই একটি সময়সীমা উল্লেখ করেছেন। যদি রাজনৈতিক দলগুলো কিছু সংস্কারের প্রস্তাব দেয় এবং সব দল একমত হয়, তাহলে নির্বাচন তারিখের সঠিক নির্ধারণ করা যাবে।”
তিনি আরও বলেন, “এখনকার জন্য, ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে, তবে নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণের আগে অনেক কিছু নির্ভর করছে রাজনৈতিক সংস্কারগুলো নিয়ে আলোচনা ও ঐক্যমতের ওপর।”
তবে, নির্বাচনের সঠিক তারিখ এখনই বলা যাচ্ছে না। প্রেস সচিব বলেছেন, নির্বাচনের নির্দিষ্ট তারিখ আসলে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে সংস্কার প্রক্রিয়া চলছে তার ওপর নির্ভর করছে। এর মধ্যে কোনো রাজনৈতিক দল যদি দ্রুত নির্বাচনের জন্য সংস্কার চায়, তবে নির্বাচনের তারিখ দ্রুতও আসতে পারে।“যদি দলগুলো একমত হয় এবং সংস্কারের বিষয়ে সমঝোতায় আসে, তবে আমরা ঠিক সময়ে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে পারব,” তিনি মন্তব্য করেন।
নির্বাচন নিয়ে সরকারের ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, প্রেস সচিব স্পষ্টভাবে জানান, বর্তমান আলোচনা মূলত সংসদীয় নির্বাচন নিয়ে। তবে গণপরিষদ নির্বাচন সম্পর্কিত কিছু দাবিও সামনে এসেছে, বিশেষ করে ছাত্র আন্দোলনের সাথে যুক্ত কিছু পক্ষের পক্ষ থেকে। তাদের মতে, সংবিধান পুনর্লিখন বা সংশোধনের বিষয়টি বিবেচনা করা প্রয়োজন।
“গণপরিষদ নির্বাচন নিয়ে কিছু দাবি উঠেছে, তবে সরকারের পক্ষ থেকে এব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত এখনও নেয়া হয়নি,” প্রেস সচিব বলেন।
নির্বাচনের প্রস্তুতি এবং রাজনৈতিক দলের মধ্যে ঐক্য সৃষ্টির ক্ষেত্রে কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে। বিভিন্ন দল নির্বাচন সংক্রান্ত সংস্কারের বিষয়ে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রেস সচিব বলেন, যদি সব দল একমত হতে পারে এবং নির্বাচনের বিষয়ে একীভূত হয়ে এগিয়ে আসে, তবে নির্বাচন সঠিক সময়ে আয়োজন সম্ভব হবে।
এদিকে, গত বছর থেকেই বিরোধী দল বিএনপি নির্বাচনের জন্য সংস্কারের দাবি জানিয়েছে। তবে, বিএনপি এখনো পরিষ্কারভাবে নির্বাচনের তারিখ বা অন্যান্য বিষয় নিয়ে কোনো নির্দিষ্ট পরিকল্পনা প্রকাশ করেনি।
বর্তমানে, সরকারের পরিকল্পনায় একটি নির্বাচন আগামী ৩০ জুন, ২০২৬ এর মধ্যে অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলোচনার ফলস্বরূপ এই সময়সীমা আগেও পরিবর্তিত হতে পারে। সরকারের পক্ষ থেকে বলছেন, নির্বাচনের তারিখ চূড়ান্ত হলে তা জানানো হবে।
এখন পর্যন্ত যে কোনো তারিখ ঘোষণা করা হয়নি, এবং এর ওপর নির্ভর করছে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সম্মতি ও প্রয়োজনীয় সংস্কারের ফলস্বরূপ সিদ্ধান্ত।
Leave a Reply