free tracking

শতাধিক গাড়ি নিয়ে সারজিসের বহর, প্রশ্ন তুললেন তাসনিম জারা!

গতকাল সোমবার ঢাকা থেকে উড়োজাহাজে সৈয়দপুর যান জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম। সৈয়দপুর থেকে তিনি সড়কপথে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ যান। দেবীগঞ্জ থেকে শতাধিক গাড়ির বহর নিয়ে তিনি জেলার বোদা, পঞ্চগড় সদর, তেঁতুলিয়া ও আটোয়ারী উপজেলা সফর করেন।

সারজিস আলমের বাড়ি আটোয়ারী উপজেলায়।

রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব পাওয়ার পর বাড়ি ফেরার পথে সারজিস আলমের এই ‘শোডাউন’ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে। এবার এই শোডউন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. তাসনিম জারা।
এত বড় একটি আয়োজন কিভাবে সম্ভব হলো—এর অর্থায়ন ও ব্যবস্থাপনা কিভাবে হয়েছে, তা নিয়ে মানুষের মনে প্রশ্ন আসাটা স্বাভাবিক বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে সারজিস আলমের টাকার উৎস নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ডা. তাসনিম জারা।

তিনি ওই পোস্টে বলেন, ‘প্রিয় সারজিস, আমি এই চিঠিটি লিখছি আমাদের দলের একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে, দলের নীতিগত অবস্থান ও স্বচ্ছতার প্রশ্ন থেকে। সম্প্রতি তোমার নিজ জেলায় শতাধিক গাড়ির একটি বড় বহর নিয়ে প্রবেশ করায় জনগণের মনে যৌক্তিকভাবেই কিছু প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।’

ডা. তাসনিম জারা আরো বলেন, “তুমি কিছুদিন আগেই প্রকাশ্যে বলেছিলে, ‘আমার আসলে এই মুহূর্তে কোনো টাকা নেই। ধার করে চলতেছি।

এইটাই হচ্ছে রিয়্যালিটি। আমার পকেটে মানিব্যাগও নেই।’ তোমার এই সাদাসিধে জীবনযাত্রার কথা আমাদের অভিভূত করেছিল এবং জনগণের কাছে আমাদের সংগ্রামকে আরো গ্রহণযোগ্য করেছে। কিন্তু সেই প্রেক্ষাপটে এত বড় একটি আয়োজন কিভাবে সম্ভব হলো—এর অর্থায়ন ও ব্যবস্থাপনা কিভাবে হয়েছে, তা নিয়ে মানুষের মনে প্রশ্ন আসাটা স্বাভাবিক। আমাদের দল স্বচ্ছতা, সততা ও জবাবদিহির ভিত্তিতে একটি নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে তোলার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, সে জায়গা থেকে এসব প্রশ্নের স্পষ্ট ও নির্ভরযোগ্য উত্তর দেওয়া আমাদের সবারই দায়িত্ব।


বিষয়টি সারজিস আন্তরিকতার সাথে বিবেচনা করবে এবং জনগণের সামনে একটি গ্রহণযোগ্য ও পরিষ্কার ব্যাখ্যা তুলে ধরবে বলে আশাবাদী ডা. তাসনিম জারা। তিনি বলেন, ‘এতে জনগণের কাছে দলের ভাবমূর্তি আরো শক্তিশালী হবে বলেই আমার বিশ্বাস।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *