তারেক রহমান, যিনি বাংলাদেশে একাধিক রাজনৈতিক লড়াইয়ের মুখোমুখি হয়েছেন, তার জীবনের অনেক অজানা দিক তুলে ধরেছেন ডা. পাভেল। ডা. পাভেল বলেন, “যদি তারেক রহমানের মতো একজন মানুষকে অমানবিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়, তবে কল্পনা করতে পারেন সাধারণ কর্মীদের কী ধরনের নির্যাতন সহ্য করতে হয়।”
তারেক রহমানের শৈশব ও কৈশোর কেমন ছিল, তা নিয়ে ডা. পাভেল বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। তিনি জানান, তারেক রহমানের মা, বেগম খালেদা জিয়া, রাজনৈতিক লড়াইয়ের মাধ্যমে দেশে এক অন্যতম ভূমিকা পালন করেছেন, আর তারেক নিজেও শুরুতে রাজনৈতিক জীবনে প্রবেশ করেন।
তারেক রহমান তার রাজনৈতিক সংগ্রামের পাশাপাশি পরিবারের প্রতি অত্যন্ত দায়বদ্ধ। তার মায়ের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি, তার ভাই আরাফাত রহমান খোকু’র প্রতি তার অগাধ ভালোবাসা, এবং বিশেষভাবে তার পিতৃত্ব ও স্বামীত্বের দায়িত্ববোধের প্রতি অবিচল অঙ্গীকার উল্লেখযোগ্য। একদিকে যেমন তিনি দলের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেন, অন্যদিকে তার ব্যক্তিগত জীবনও অতি সাধারণ।
ডা. পাভেল আরও বলেন, “তারেক রহমানের মধ্যে এমন এক শক্তি রয়েছে, যা তাকে অনেক কঠিন পরিস্থিতিতেও দৃঢ়তার সাথে সামলাতে সহায়তা করেছে। তাকে যেভাবে অমানবিক নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে, তা কেউ জানে না, কিন্তু তার দৃঢ়তা দেখে বোঝা যায় তিনি কতটা শক্তিশালী।”
তারেক রহমানের জীবনের অজানা দিকগুলি এমনভাবেই উপস্থাপিত হয়েছে যে, রাজনৈতিক দিকগুলোর পাশাপাশি তার ব্যক্তিগত জীবনও অন্তর্নিহিত এক মানবিক সংগ্রাম হিসেবে ফুটে ওঠে।
এছাড়া, তারেক রহমানের মেয়ে, যিনি বর্তমানে বিদেশে বসবাস করছেন, বাংলাদেশী সংস্কৃতির প্রতি তার অনুভূতি এবং বাবার প্রতি শ্রদ্ধা, এমনকি আন্তর্জাতিক পরিসরে তার বাবা তথা বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য সযত্নভাবে প্রস্তুতিও উল্লেখযোগ্য।
তারেক রহমানের পরিবারের সদস্যরা, বিশেষত তার মেয়ে, যারা বাংলাদেশে দীর্ঘকাল বঞ্চিত থেকেছেন, তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে কাজ করছেন। তিনি, যদিও বিদেশে থাকেন, কিন্তু তার মেয়ে বাংলা সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্য জানাতে তৎপর।
তারেক রহমানের জীবনে এক দুঃখজনক অধ্যায় হচ্ছে তার ভাই আরাফাত রহমান অকাল মৃত্যুর ঘটনা। এছাড়া, জীবনে নানা ধরনের রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ, পরিবারের প্রতি দায়বদ্ধতা এবং দলের জন্য নিবেদিততা তার জীবনের পরিপূরক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
Leave a Reply