চট্টগ্রামে র্যাব-৭ এ কর্মরত সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) পলাশ সাহা নিজ কার্যালয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তার লেখা সুইসাইড নোটে উঠে এসেছে এক হৃদয়বিদারক আত্মোপলব্ধি।
সুইসাইড নোটে তিনি লেখেন—“আমার মৃত্যুর জন্য মা বা স্ত্রী কেউ দায়ী নয়। আমিই দায়ী। কাউকে ভালো রাখতে পারলাম না।”
তিনি স্ত্রীকে সব স্বর্ণালঙ্কার রেখে যাওয়ার কথা বলেন এবং মায়ের দায়িত্ব দেন দুই ভাইয়ের ওপর। বিষয়গুলো সমন্বয়ের দায়িত্ব দেন বড় বোনকে।
গতকাল বুধবার দুপুর ১২টার দিকে চান্দগাঁওয়ের র্যাব ক্যাম্পে দায়িত্ব পালনের প্রস্তুতির সময় পলাশ নিজের ইস্যুকৃত পিস্তল নিয়ে কক্ষে প্রবেশ করেন। কিছুক্ষণ পর গুলির শব্দে সহকর্মীরা দৌড়ে গিয়ে তাকে চেয়ারে নিথর অবস্থায় পান। পাশে পড়ে ছিল পিস্তল ও একটি সুইসাইড নোট।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরিবারের পক্ষ থেকে জানা গেছে, পলাশের স্ত্রী সুস্মিতার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহ চলছিল। মা আর স্ত্রীকে একসঙ্গে নিয়ে থাকতে চাওয়ায় পলাশ প্রায়ই মানসিক চাপে থাকতেন। মৃত্যুর দিন সকালে স্ত্রী সুস্মিতা তার মায়ের ওপর শারীরিকভাবে চড়াও হন বলেও অভিযোগ করেন পরিবারের সদস্যরা।
পলাশ সাহা ছিলেন ৩৭তম বিসিএস ক্যাডারের পুলিশ কর্মকর্তা। তিনি সাবরেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন এবং পরবর্তীতে পুলিশের বিশেষ শাখায় দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ র্যাব-৭-এ সিনিয়র সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
ঘটনার পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ভিড় করেন সহকর্মীরা। স্ত্রীর চোখেমুখে বিষণ্ণতা, সহকর্মীদের চোখে জল—সব মিলিয়ে এক বেদনাবিধুর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
এএসপি পলাশ সাহার আত্মহত্যা শুধু একটি ব্যক্তি জীবনের করুণ সমাপ্তি নয়—এটি আমাদের পরিবার, মানসিক স্বাস্থ্য ও সম্পর্কের জটিলতা নিয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করে।
আপনি চাইলে এটি আরও সংক্ষিপ্ত আকারে সোশ্যাল মিডিয়া বা নিউজ অ্যাপে উপযোগী করে নিতে পারেন। দরকার হলে আমি সাহায্য করতে পারি। চাইবেন?
Leave a Reply