চরম রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং সীমান্ত সংঘাতের আবহে এক স্বস্তির খবর পেয়েছে পাকিস্তান। দেশটির জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এক বিলিয়ন ডলার ঋণ ছাড়ের অনুমোদন দিয়েছে। শুক্রবার (৯ মে) জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত আইএমএফ নির্বাহী বোর্ডের বৈঠকে পাকিস্তানকে ১ বিলিয়ন ডলার ঋণ বিতরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই অর্থ এক্সটেন্ডেড ফান্ড ফ্যাসিলিটি (ইএফএফ) কর্মসূচির আওতায় অবিলম্বে ছাড় করা হবে।
বোর্ড সভায় পাকিস্তানের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের মূল্যায়ন ছাড়াও রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটি (আরএসএফ) কাঠামোর আওতায় নতুন পরিকল্পনা গ্রহণের প্রস্তাবও আলোচনা হয়।
আইএমএফের সর্বশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরে পাকিস্তানে মুদ্রাস্ফীতির হার হবে ২৩.৪ শতাংশ, তবে ২০২৫ সালে তা কমে ৫.১ শতাংশে নেমে আসবে। পরবর্তী বছর, অর্থাৎ ২০২৬ সালে মুদ্রাস্ফীতি সামান্য বেড়ে ৭.৭ শতাংশ হতে পারে।
অন্যদিকে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে আইএমএফ আশাবাদী। সংস্থাটি আশা করছে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে পাকিস্তানের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৬ শতাংশে উন্নীত হবে। এই হার অর্থনীতির স্থিতিশীলতার দিকে অগ্রগমনের ইঙ্গিত দেয়।
চলতি হিসাব ঘাটতির বিষয়েও আইএমএফ ইতিবাচক বার্তা দিয়েছে। সংস্থাটির মতে, পাকিস্তানের চলতি হিসাব ঘাটতি জিডিপির মাত্র ০.১ শতাংশে (প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলার) সীমাবদ্ধ থাকবে, যা পূর্বাভাসকৃত ১ শতাংশের তুলনায় অনেকটাই কম।
এছাড়াও বেকারত্বের হারে ধীরে ধীরে ইতিবাচক পরিবর্তন আশা করা হচ্ছে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৫ সালে দেশে বেকারত্বের হার হবে ৮ শতাংশ, আর ২০২৬ সালে তা আরও কমে দাঁড়াবে ৭.৫ শতাংশে। ২০২৪ সালে এই হার ছিল ৮.৩ শতাংশ।
আইএমএফের এই অর্থ ছাড় এবং ভবিষ্যৎ পূর্বাভাস পাকিস্তানের জন্য একদিকে যেমন আর্থিক স্বস্তি বয়ে আনছে, অন্যদিকে দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার পথে এগিয়ে যাওয়ার বার্তাও দিচ্ছে।
Leave a Reply