free tracking

ডায়াবেটিক রোগীরা যেভাবে আম খাবেন!

ফলের রাজা আম খেতে কে না পছন্দ করেন। এই ফল যেমন সুস্বাদু তেমনই পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। জ্যৈষ্ঠ শুরু হতে না হতেই বাজারে পাকা আমের দেখা মিলছে। ছোট বড় সবাই এই ফল খেতে ভালোবাসেন।

তবে বেশি মিষ্টি হওয়ায় ডায়াবেটিক রোগীরা এই ফল খেতে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
পুষ্টিকর ফল আমের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি, এ, জিঙ্ক, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, প্রচুর পরিমাণে মিনারেল, শর্করা ও ক্যালরি। আর প্রচুর পরিমাণে শর্করা থাকার কারণেই ডায়াবেটিক রোগীরা পাকা আম খাওয়া থেকে দূরে থাকেন। তবে অভিজ্ঞরা বলছেন, কিছু নিয়ম মেনে আম খেলে কোনো বিপদ হবে না।

ঠিক কি কি নিয়ম মেনে ডায়াবেটিক রোগীরা পছন্দের এই ফল খাবেন জেনে নিন-

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডায়াবেটিক রোগীরা একটা বড় আম একেবারে পুরোটা না খেয়ে অনেকটা সময়ের ব্যবধানে খেতে পারেন। সম্ভব হলে তা সকাল ও বিকেলে ভাগ করে খেতে। এতে সুগার লেভেল বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকবে না।

একইসঙ্গে বলছেন, শুধু ডায়াবেটিক রোগীরাই নন, প্রত্যেকেই এইভাবে আম খাওয়ার অভ্যাস করলে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি এবং ওজন বৃদ্ধির মতো বিষয়গুলো এড়িয়ে চলা যাবে।

রাতের খাবারের পর আমাদের মধ্যে অনেকেই আম খেয়েই মিষ্টিমুখ সারেন। অভিজ্ঞরা বলছেন, রাতের খাবারের সঙ্গে আম খাওয়া যাবে না একেবারেই। একই সঙ্গে যেকোনো ভারী খাবারের সঙ্গেও আম খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ পাকা আমে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি।

আম খাওয়ার সঠিক সময় হচ্ছে সকালের নাশতা ও রাতের খাবারের মধ্যবর্তী সময়।

বিশেষত ব্রেকফাস্ট। তবে এক্ষেত্রেও ভারি খাবার খেয়ে আম খেতে নিষেধ করছেন বিশেষজ্ঞরা।
গোটা আম কেটে ফল হিসেবেই সেটি খেলে তাতে শরীরের উপকার হয়। আমের জুস, পুডিং ইত্যাদি বানিয়ে খেলে হিতে বিপরীত হতে পারে বলেই বলছেন চিকিৎসকরা।

শসার সঙ্গে আম খেলে তাতে গ্লুকোজ নিঃসরণ হয় ধীরগতিতে। আর এই উপায়ে আম খেলে তাতে রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ করে বাড়বে না। তবে এই ধরনের উপায়গুলো মেনে চলার পাশাপাশি শরীরের সমস্যা অনুযায়ী চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদের পরামর্শ মেনে চলবেন। অবশ্যই রক্তে শর্করার মাত্রা যাচাই করবেন অবশ্যই নিয়ম করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *