free tracking

সেই মতিউর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন, কী ঘটেছিল জানা গেলো!

চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়া মতিউর রহমান (৪০) চিকিৎসা শেষে আজ সোমবার সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরেছেন। নশরৎপুর রেলস্টেশনে ঘটে যাওয়া এই মর্মান্তিক ঘটনার পর তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মূল ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন তার ছেলে আহসান হাবিব।

নওগাঁর রানীনগর উপজেলার পারইল গ্রামের বাসিন্দা মতিউর রহমান এক সময় অটোরিকশা চালালেও বর্তমানে বিদেশে লোক পাঠানোর কাজ করেন। তার ছেলে জানান, মতিউর এক যুবক সজীব হোসেনকে সৌদি আরবে পাঠাতে ৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা নেন। কিন্তু কিছু কাগজপত্রের জটিলতায় সজীব বিদেশে গিয়ে বিলম্বে কাজ পান। এই নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হলে, সজীবের ভাই রাকিব ও তার শ্যালকরা মতিউরকে গত রোববার ট্রেনে একা পেয়ে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এ সময় তার সঙ্গে থাকা ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়।

ট্রেনের সঙ্গে ঝুলে থাকা অবস্থায় মতিউর নশরৎপুর স্টেশনে প্ল্যাটফর্মে ধাক্কা খেয়ে নিচে পড়ে যান। পরে স্থানীয়রা ভুলভাবে চোর অপবাদ দিয়ে গণপিটুনি দেয়। তার ছেলে বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই এবং বাবাকে আদমদীঘি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। বাবার বুক, মাথা ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুরুতর আঘাত লেগেছে।’

আহসান অভিযোগ করেন, ঘটনার পর আদমদীঘি থানা এবং সান্তাহার রেলওয়ে থানা—দুই জায়গাতেই অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ দায়সারা মনোভাব দেখায়। তবে ঘটনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর সোমবার সান্তাহার রেলওয়ে থানা অবশেষে অভিযোগ গ্রহণ করে।

সান্তাহার রেলওয়ে থানার ওসি হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, ‘ভুক্তভোগী একজনের নামসহ কয়েকজন অজ্ঞাতনামাকে আসামি করে অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা তদন্ত করছি এবং অভিযুক্তদের দ্রুত আটকের চেষ্টা চলছে।’

এদিকে সজীবের ভাই রাকিবের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তাদের বাবা মোহাম্মদ হেলাল বলেন, ‘আমার ছেলে কাজ না পাওয়ায় হতাশ, তবে ট্রেনের ঘটনায় আমি কিছু জানি না।’

মতিউর রহমানের পরিবারের দাবি, ‘এই ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হোক, যাতে আর কেউ এমন ন্যক্কারজনক ঘটনার শিকার না হন।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *