free tracking

“আমি আর পারছি না!” – জাতির উদ্দেশ্যে ড. ইউনুস!

পুরো দেশ এখন তাকিয়ে আছে একজন মানুষের দিকে—ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস। গণমাধ্যম থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, রাজনীতির অন্দরমহল এমনকি চায়ের দোকানেও ঘুরে ফিরে আসছে একটাই প্রশ্ন: ড. ইউনুস কি সত্যিই পদত্যাগ করছেন?

বৃহস্পতিবার বিকেলে উপদেষ্টা পরিষদের সাপ্তাহিক বৈঠক শেষে শুরু হয় একটি অনানুষ্ঠানিক বৈঠক, যা টানা চার ঘণ্টা চলে। বৈঠকের এক পর্যায়ে ড. ইউনুস স্পষ্টভাবে বলেন, “আমি আর পারছি না, এই জঞ্জালের দায় আমার নয়। আমি আজই জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়ে পদত্যাগ করব।”

এই ঘোষণা যেন বজ্রপাতের মতো নেমে আসে উপদেষ্টা মহলে। দ্রুত শুরু হয় ভাষণের খসড়া লেখা। তবে কিছু সিনিয়র উপদেষ্টা অনুরোধ করেন তাকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য। এনসিপি নেতা নাহিদ ইসলাম ব্যক্তিগতভাবে দেখা করে অনুরোধ করেন—এখনই যেন পদত্যাগ না করেন।

উপদেষ্টাদের ভাষ্যমতে, ড. ইউনুস রাজনীতিকদের অদূরদর্শিতা ও দায়হীনতায় ক্লান্ত। তিনি অভিযোগ করেন, চলমান বিশৃঙ্খলার দায়ভার এককভাবে তার ওপর চাপানো হচ্ছে, অথচ রাজনৈতিক নেতারা কোনো দায় নিচ্ছেন না।

এদিকে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে থাকলে জামায়াতের আমির ড. শফিকুর রহমান সর্বদলীয় বৈঠকের আহ্বান জানান। এনসিপি নেতারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘ফ্যাসিবাদ বিরোধী ঐক্যের’ ডাক দেন।

এমন উত্তেজনার মধ্যেই শুক্রবার একটি নতুন মোড় নেয় পরিস্থিতি। বিশিষ্ট বিশ্লেষক পিনাকি ভট্টাচার্য ফেসবুকে পোস্ট দেন, দেশের জন্য প্রয়োজনে তিনি ও ইলিয়াস কনক সরোয়ার একসঙ্গে ঢাকার এয়ারপোর্টে এসে ড. ইউনুসের পাশে দাঁড়াবেন।

এই আবহে আবারও শুরু হয় উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক। টেলিভিশনের পর্দায় নজর সবার। অবশেষে ছড়িয়ে পড়ে খবর—ড. মোহাম্মদ ইউনুস পদত্যাগ করছেন না।

তার আইসিটি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়ব শুক্রবার সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লেখেন, “ড. ইউনুস ক্ষমতা চান না, কিন্তু বাংলাদেশের জন্য তার প্রয়োজন আছে। তিনি দায়িত্ব নিতে ভয় পান না।”DSE stock quotes

সঙ্গে তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নিয়মিত ও নিবিড় আলোচনার আহ্বান জানান এবং সরকারকে বিচ্ছিন্নতা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন।

এই বার্তা কেবল রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার প্রতীক নয়, বরং এক মানসিক আশ্বাস—এই সংকটময় সময়ে দেশ একা নয়, একজন মানুষ আছেন যিনি দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত, যদিও ক্ষমতার মোহে নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *