free tracking

মাত্র ২০০ টাকায় স্টারলিংক, বাস্তবে কীভাবে সম্ভব হলো, জানলে চমকে যাবেন!

স্টারলিংকের ইন্টারনেট খরচ যেখানে হাজারে হাজার, সেখানে মাত্র ২০০ টাকায় এটি ব্যবহারের সম্ভাবনা শুনে অবাক হচ্ছেন? সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও ও পরিকল্পনায় বলা হচ্ছে, এখন একজন দোকানদার কিংবা রিকশাচালকও সহজে ব্যবহার করতে পারেন স্টারলিংকের হাইস্পিড ইন্টারনেট।

তাহলে কীভাবে এই অসম্ভবকেই সম্ভব করা হলো?মূলত এটি সম্ভব হচ্ছে ‘শেয়ারড ইউজ মডেল’-এর মাধ্যমে। যেখানে একটি বাজার বা দোকানপট্টির ২০-২৫টি দোকান মিলে কিনছে একটি স্টারলিংক রাউটার ও কিট (৪৭,০০০ টাকা) এবং মাসিক সাবস্ক্রিপশন ফি (৪,২০০ টাকা) ভাগ করে নিচ্ছে। ফলে প্রত্যেক ব্যবহারকারীর মাসিক খরচ নেমে আসছে মাত্র ২০০-২১০ টাকায়!

কিন্তু প্রশ্ন হলো, এটা কি সত্যিই কাজ করে?আংশিকভাবে হ্যাঁ, তবে কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে:

স্পিড শেয়ারিং সমস্যা:২৩৫টি ডিভাইস কানেক্ট করার সুবিধা থাকলেও, ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়লে গতি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়।

দেয়াল ও বাধার সমস্যা:রাউটারের ৩২০০ স্কয়ার ফিট কভারেজ দেয়াল বা বাধা থাকলে কার্যকর নাও হতে পারে। ফলে অনেক দোকান বা ব্যবহারকারী দুর্বল সংযোগ পেতে পারেন।

হাইস্পিড নয়, সীমিত সুবিধা:এটি আসলে হাইস্পিড স্টারলিংক অভিজ্ঞতা নয়, বরং কমগতির একটি শেয়ারড কানেকশন মাত্র।

তবু কিছু দারুণ দিকও আছে কম খরচে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ গ্রুপ ইনভেস্টমেন্টে সহজলভ্যতা ৩০ দিনের টাকা ফেরতের গ্যারান্টি

তাহলে কী সিদ্ধান্ত নেবেন?”মাত্র ২০০ টাকায় স্টারলিংক”—শুনতে যতটা আকর্ষণীয়, বাস্তবে তা নির্ভর করছে পরিকল্পনা, অবস্থান এবং প্রস্তুতির ওপর।যারা কম গতির ইন্টারনেটেও খুশি থাকেন, তারা এমন উদ্যোগে অংশ নিতে পারেন। তবে যারা ফুল স্পিড, নিরবিচ্ছিন্ন সংযোগ চান, তাদের জন্য এ মডেলটি যথেষ্ট নয়।

সাবধানতা:কোনো ভাইরাল পোস্ট দেখে বিনিয়োগে ঝাঁপ দেওয়ার আগে সম্পূর্ণ তথ্য যাচাই করুন। কারণ প্রযুক্তি সুবিধা যেমন বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে বিভ্রান্তিও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *