নওগাঁর মান্দা উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেনের নানা অপকর্ম নিয়ে এলাকায় উত্তাল সৃষ্টি হয়েছে। একাধিক ছাত্রীর সঙ্গে প্রেম-প্রসূত বিয়ের অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। এ বছর স্বাধীনতা দিবসে এসএসসি পরীক্ষার্থী এক ছাত্রীকে জোরপূর্বক তৃতীয় বিয়ে করার অভিযোগে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি।
স্থানীয়রা বলছেন, আকরাম মাস্টার পূর্বেও এক স্কুল শিক্ষিকাকে প্রথম স্ত্রী হিসেবে বিয়ে করেন। পরে আরেক স্কুলছাত্রীকে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে বিয়ে করার পাশাপাশি একই ছাত্রীকে অপহরণ ও জোর করে বিয়ে করার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ রয়েছে, একবার ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার হলেও জামিনে বেরিয়ে এসে আবারও সেই একই ছাত্রীকে অপহরণ করেছেন তিনি।
ছাত্রীর বাবা স্থানীয় থানায় অভিযোগ দাখিল করে মামলা করেছেন। “আমার মেয়েকে জোর করে অপহরণ করে তুলে নিয়ে গেছে, আমি কী করব? মামলা দিলাম, জেলখাটা হয়েছে, জামিনে বেরিয়ে আবার মেয়েকে তুলে নিয়ে গেছে,” তিনি দুঃখজনক কণ্ঠে বলেন।
এ ঘটনায় স্থানীয় এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা প্রধান শিক্ষকের দ্রুত অপসারণ এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। “এ ধরনের শিক্ষক থাকলে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হয়, আমাদের স্কুলের মেয়েরা এখন ভয়ে স্কুলে যেতে পারে না,” একজন অভিভাবক জানান।
স্থানীয়রা আরও বলেন, আকরাম হোসেনের বিরুদ্ধে জমি দখল, ঘুষ নেওয়া, গুণ্ডা মহল ও অনিয়মের অভিযোগও রয়েছে। তবে এসব অভিযোগের পরও তিনি স্কুলের প্রধান শিক্ষক পদে রয়েছেন, যা এলাকায় অসন্তোষ সৃষ্টি করছে।
এদিকে, পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত আকরাম হোসেনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। ভুক্তভোগী মেয়েটিকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
এ ঘটনায় নওগাঁর শিক্ষাব্যবস্থার স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। সচেতন মহল বলছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমন ঘটনা সমাজের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ এবং দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
FAQ (প্রশ্ন ও উত্তর)
প্রশ্ন ১:আকরাম হোসেনের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ উঠেছে?
উত্তর: তিনবার বিয়ে, ছাত্রীর অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
প্রশ্ন ২:কীভাবে ঘটনা সামনে এসেছে?
উত্তর: ভুক্তভোগী ছাত্রীর পরিবার থানায় মামলা দায়ের করে ও অভিযোগ জানায়।
প্রশ্ন ৩:পুলিশের পদক্ষেপ কী?
উত্তর: আকরাম হোসেনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে এবং ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করার চেষ্টা অব্যাহত আছে।
প্রশ্ন ৪:এলাকাবাসীর কি দাবি?
উত্তর: তাঁরা প্রধান শিক্ষকের দ্রুত অপসারণ এবং কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
Leave a Reply