কোটা নিয়ে এবার মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী!

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনিরা কোটা পাবে না, তাহলে কি রাজাকারের নাতিরা কোটা পাবে? তা তো আমরা দিতে পারি না। রোববার (১৪ জুলাই) বিকেলে চীন সফর নিয়ে গণভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে কথা বলার অধিকার তাদের কে দিয়েছে? তারা দেশ স্বাধীন করার জন্য জীবনপণ লড়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পায় কীভাবে? মুক্তিযুদ্ধ তাদের এখন ভালো লাগে না।

তিনি বলেন, দেশে কোটাবিরোধী আন্দোলন চলছে। এক মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী ক্যান্সারে আক্রান্ত কিন্তু চিকিৎসার টাকা নেই। এটা হলো মুক্তিযোদ্ধাদের এখনকার অবস্থা। আথচ তাদের উদ্দেশ্য করে প্রতিনিয়ত অবমাননাকর বক্তব্য রাখা হচ্ছে। এই অবমাননা তারা সহ্য করতে পারছেন না। এই রাষ্ট্রের কিছু করণীয় আছে কি না?

নিজের জীবন বাজি রেখে, নিজের পরিবার সব ফেলে যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে, দিনরাত খেয়ে না খেয়ে, কাদামাটি পেরিয়ে, ঝড়বৃষ্টি সব মোকাবিলা করে যুদ্ধ করে এ দেশে বিজয় এনে দিয়েছিল। বিজয় এনে দিয়েছিল বলেই তো আজ সবাই উচ্চপদে আসীন। আজ গলা বাড়িয়ে কথা বলতে পারছে। তা না হলে পাকিস্তানিদের বুটের লাথি খেয়ে থাকতে হতো।

এর আগে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, ২০১৮ সালে আন্দোলন ও সহিংসতার ঘটনায় বিরক্ত হয়ে তিনি কোটা বাতিল করেছিলেন। তিনি বলেন, একবার তারা এ ধরনের আন্দোলন করেছিল। আন্দোলন তো না সহিংসতা। ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করেছিল। তখন আমি বিরক্ত হয়ে বলেছিলাম সব কোটা বাদ দিয়ে দিলাম। তখনই বলেছিলাম যে কোটা বাদ দিলে দেখেন কী অবস্থা হয়। এখন দেখেন কী অবস্থা তৈরি হয়েছে?

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মেধা কার কত সেটা পরীক্ষায় দেখা যায়। সবসময় সব কোটা পূর্ণও হয় না। মেধাতালিকা থেকেও নিয়োগ দেয়া হয়। কোটা আর মেধা তো এক জিনিস না। এটা একটা ট্যাকটিস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *