free tracking

কোলন ক্যান্সারের ৫টি উপেক্ষিত লক্ষণ, জানলেই বাঁচতে পারেন বিপদ থেকে!

কোলন ক্যান্সার, যা বিশ্বব্যাপী ক্যান্সারজনিত মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ, প্রাথমিক পর্যায়ে নিরবেই বিকাশ লাভ করে। এ কারণে রোগটি শনাক্ত করতে দেরি হলে চিকিৎসা জটিল হয়ে পড়ে। তবে কিছু লক্ষণ রয়েছে, যেগুলো অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

কোলন ক্যান্সারের ৫টি উপেক্ষিত লক্ষণ
মলত্যাগের অভ্যাসে স্থায়ী পরিবর্তন
দীর্ঘমেয়াদে ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য বা মলের আকার সরু হয়ে যাওয়া কোলন ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে। এমন পরিবর্তন কয়েক সপ্তাহ ধরে চললে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

মলে রক্তের উপস্থিতি
মলে উজ্জ্বল লাল রঙের রক্ত দেখা গেলে তা অভ্যন্তরীণ রক্তপাতের ইঙ্গিত হতে পারে। এটি কোলন ক্যান্সারের একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ।

অবিরাম পেটব্যথা বা অস্বস্তি
পেটের ক্র্যাম্প, গ্যাস, ফোলাভাব বা ব্যথা যদি নিয়মিত অনুভূত হয়, তবে তা কোলনে টিউমার বা বাধার লক্ষণ হতে পারে।

অকারণে ওজন হ্রাস
ডায়েট বা ব্যায়ামের পরিবর্তন ছাড়াই হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া দেহের অভ্যন্তরীণ সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে, যার মধ্যে কোলন ক্যান্সার অন্যতম।

অতিরিক্ত ক্লান্তি বা দুর্বলতা
অভ্যন্তরীণ রক্তপাত বা শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করার কারণে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে, ফলে অতিরিক্ত ক্লান্তি অনুভূত হয়।

ঝুঁকি কমাতে যা করবেন
কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে কিছু জীবনধারাগত পরিবর্তন সহায়ক হতে পারে:

সুষম খাদ্যাভ্যাস: ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার, যেমন ফলমূল, সবজি ও শস্যদানা খাওয়া এবং প্রক্রিয়াজাত ও লাল মাংসের পরিমাণ কমানো।

নিয়মিত ব্যায়াম: সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট মাঝারি মাত্রার ব্যায়াম করুন।

ধূমপান ও অ্যালকোহল বর্জন: এই দুটি অভ্যাস ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা: বিশেষ করে ৪৫ বছর বয়সের পর নিয়মিত কোলন ক্যান্সার স্ক্রিনিং করানো উচিত।

কোলন ক্যান্সার প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত হলে চিকিৎসার সফলতা অনেক বেশি। তাই উপরের লক্ষণগুলোর যেকোনো একটি দেখা দিলে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *