জুলাই মাসের জন্য জ্বালানি তেলের নতুন দাম ঘোষণা করেছে সরকার। তবে এবার দাম না বাড়িয়ে জুন মাসের নির্ধারিত দামই বহাল রাখা হয়েছে। আজ রবিবার (২৯ জুন) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ১ জুলাই থেকে ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রল ও অকটেনের দাম পূর্বের মতোই থাকবে। প্রতি লিটার ডিজেল ১০২ টাকা, কেরোসিন ১১৪ টাকা, পেট্রল ১১৮ টাকা এবং অকটেন ১২২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আগের মতোই থাকছে দাম
২০২৩ সালের মার্চ মাস থেকে সরকার আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি চালু করেছে। এই ব্যবস্থায় প্রতি মাসেই তেলের দাম পর্যালোচনা করা হয় এবং আন্তর্জাতিক বাজারে দাম ওঠানামার ভিত্তিতে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়।
সরকার জানিয়েছে, জুলাই মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দামে বড় কোনো পরিবর্তন না থাকায় দেশের বাজারেও আগের দামই বহাল রাখা হয়েছে। ফলে নতুন করে ভোক্তাদের ওপর অতিরিক্ত চাপ আসছে না।
ডিজেলেই নির্ভরতা বেশি
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) তথ্য অনুযায়ী, দেশে বছরে প্রায় ৭৫ লাখ টন জ্বালানি তেলের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৭৫ শতাংশই ডিজেলের ব্যবহার, যা কৃষি, গণপরিবহন, শিল্প ও বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়।
বিপিসির মূল লাভ-লোকসান নির্ভর করে ডিজেলের বিক্রির ওপর। অন্যদিকে, অকটেন ও পেট্রল বিক্রিতে সবসময়ই লাভ হয়ে থাকে। জেট ফুয়েল ও ফার্নেস অয়েলের দাম এখন নির্ধারণ করছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
আইএমএফ-এর শর্তেই স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের শর্ত হিসেবে গত বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি সরকার জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি চালুর ঘোষণা দেয়। এই ব্যবস্থায় বাজারমূল্য কমলে দেশে তেলের দাম কমবে, আর বাড়লে দাম বাড়বে।
উপকার পাচ্ছে ভোক্তা
জুলাই মাসে তেলের দামে কোনো পরিবর্তন না আসায় কৃষক, পরিবহন মালিক এবং সাধারণ ভোক্তারা স্বস্তি পেয়েছেন। সামগ্রিকভাবে, দাম না বাড়ায় বাজারে স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে বলে আশা করছেন বিশ্লেষকেরা।
Leave a Reply