আবারও ভয়াবহ বন্যার শঙ্কায় কাঁপছে দেশের ফেনী ও কুমিল্লা জেলা। কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ সরাসরি জানিয়েছেন, এই দুই জেলায় বন্যা পরিস্থিতির গুরুতর অবনতি ঘটতে পারে যে কোনো মুহূর্তে। এরই মধ্যে ফেসবুকে দেওয়া সতর্কবার্তায় তিনি জানিয়েছেন, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও বাংলাদেশে টানা ভারি বর্ষণ এই বিপদের প্রধান কারণ।
বিশেষজ্ঞের মতে, বুধবার সকাল থেকেই ত্রিপুরার পাহাড়ি ঢলের পানি ফেনী ও কুমিল্লার নদনদীতে প্রবেশ করবে। ফলে পরিস্থিতি হয়ে উঠতে পারে আরও জটিল। ইতোমধ্যেই ফেনী ও কুমিল্লার দক্ষিণাঞ্চলে পানিতে তলিয়ে গেছে বহু এলাকা।
ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তরের রাডার চিত্র বলছে, ত্রিপুরা ছাড়াও বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, খাগড়াছড়িসহ পুরো চট্টগ্রাম বিভাগ জুড়ে নতুন করে ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণের প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। আজ রাত জুড়েই এই বৃষ্টি চলবে বলে পূর্বাভাসে উল্লেখ করা হয়েছে।
পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে, কারণ আগামী ২৪ ঘণ্টায় এই অঞ্চলে ১০০ থেকে ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এতে করে নতুন করে প্লাবিত হতে পারে আরও অনেক এলাকা। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় প্রশাসনকে এখনই প্রস্তুতি নিতে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে সতর্ক থাকতে, বিশেষ করে নিচু এলাকায় বসবাসকারীদের যেন প্রয়োজন হলে দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরে যান। সরকারের পক্ষ থেকেও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে বলে জানা গেছে।
Leave a Reply