free tracking

সন্তান প্রসবের মাত্র ১৭ ঘণ্টা আগে জানতে পারে তিনি অন্তঃসত্ত্বা!!

অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের বাসিন্দা। আড়াই বছর ধরে রিলেশনে আছেন তিনি। তবে সন্তান ধারণের শেষ স্তরে যাওয়া পর্যন্ত তার কিছুই বুঝতে পারেননি। এমনই এক ঘটনা ঘটেছে ২০ বছর বয়সী শার্লট সামার্সের সঙ্গে।

সামার্সের এ ধরনের গর্ভধারণকে ‘ক্রিপটিক প্রেগনেন্সি’ বলে। এমন অভিজ্ঞতা বিরল। তবে অসম্ভব নয়। বিশ্বব্যাপী প্রায় এমন খবর শোনা যায়। সামার্সের সঙ্গেও ৩৮ সপ্তাহ চার দিন ‘অবচেতন মনের’ খেলা চলেছে। যখন তিনি শেষ ধাপে তখন পেটে সমস্যার উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। তখনই ধরা পড়ে দেহে অন্য প্রাণের অস্তিত্ব।

চিকিৎসাবিজ্ঞান বলছে, এমন গর্ভাবস্থায় মা বুঝতেই পারেন না যে তিনি অন্তঃসত্ত্বা, অন্তত গর্ভাবস্থার শেষ ধাপে যাওয়ার আগপর্যন্ত। কিন্তু এর আগে ওজন বাড়ে। অন্যান্য উপসর্গও দেখা দেয়। তবে মা ভাবেন, এসব স্বাভাবিক ‘শরীর খারাপ’। যেমন, বমি ভাবের জন্য তিনি তার অন্য অবস্থাকে দায়ী করেন এবং সে অনুপাতে চিকিৎসা নেন।

সামার্সও অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন ভেবে চিকিৎসকের কাছে যাননি। নিজের সেই অভিজ্ঞতার কথা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করে তিনি বলেন, ‘সন্তান প্রসবের মাত্র ১৭ ঘণ্টা আগে জানতে পারি আমি অন্তঃসত্ত্বা। আমি আড়াই বছর ধরে সম্পর্কে আছি। পেট একটু বড় হয়ে গিয়েছিল, ধরে নিয়েছিলাম এমনই হবে। ভেবেছিলাম, এইটা বুঝি সুখী সম্পর্কে থাকার কারণে স্বাভাবিক ওজন বেড়ে যাওয়া। তা ছাড়া সে সময় নানা চাপের ভেতর দিয়ে আমার জীবন চলছিল।’

গত ৬ জুন হজমের অসুবিধার কারণে চিকিৎসকের কাছে যান জানিয়ে তিনি বলেন, এ সময় চিকিৎসক অপ্রত্যাশিতভাবে গর্ভাবস্থা পরীক্ষার পরামর্শ দেন। পরীক্ষার পর চিকিৎসক নিশ্চিত করেন, গর্ভে ৩৮ সপ্তাহ চার দিনের সন্তান।

আলট্রাসাউন্ড পরীক্ষার পর জানা গেল, সামার্সের প্লাসেন্টায় সমস্যা রয়েছে। দ্রুত সিজার করাতে হবে। সেদিনই তাকে প্রসূতি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয় এবং গর্ভাবস্থা নিশ্চিত হওয়ার মাত্র ১৭ ঘণ্টা ২১ মিনিট পর তিনি একটি পুত্রসন্তানের জন্ম দেন।

তিনি বলেন, রিপোর্টে গর্ভাবস্থা ধরা পড়ার পর হতবাক হয়ে যাই। আমি আসলে বুঝতে পারছিলাম না কী হচ্ছে। আমি জানি না এটাকে আর কীভাবে ব্যাখ্যা করব। এটা একটা পাগলাটে অভিজ্ঞতা ছিল। সবকিছু যেমনই হোক, আমি মা হতে পেরে আনন্দিত। সন্তানকে নিয়ে নতুন জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করতে চাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *