free tracking

চমক দেখালো বাংলাদেশ : শীর্ষে এখন টাইগাররা!

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের বর্তমান যুগ মানেই ছক্কার দাপট। আর সেই দাপটে এখন নেতৃত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ! ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে ৮৮টি ছক্কা হাঁকিয়ে টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে ছক্কা মারার তালিকায় সবার ওপরে অবস্থান করছে টাইগাররা। পেছনে ফেলেছে শক্তিশালী দলগুলো—পাকিস্তান (৬৭), ওয়েস্ট ইন্ডিজ (৬৪), নিউজিল্যান্ড (৭১) ও ইংল্যান্ড (৬২)।

আক্রমণাত্মক ক্রিকেটে নতুন বাংলাদেশ

বাংলাদেশের এই রূপান্তর কেবল পরিসংখ্যানের নয়, এটি আত্মবিশ্বাস, মানসিকতা এবং ব্যাটিং দৃষ্টিভঙ্গির এক বিপ্লব। এক সময় যারা কৌশলী ব্যাটিংয়ে বিশ্বাস করত, সেই বাংলাদেশই এখন ব্যাট হাতে প্রতিপক্ষের ওপর ছড়ি ঘোরাচ্ছে ছক্কার ঝড়ে।

তানজিদ-ইমন: ছক্কার দুই তরুণ সেনানী

এই পরিবর্তনের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন দুই তরুণ ওপেনার—তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমন। তারা যেন ছক্কা মারাকে পরিণত করেছেন নিজেদের স্বাভাবিক খেলায়।

বিশেষ করে পারভেজ ইমনের সাম্প্রতিক ইনিংসটি পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে ছিল নজরকাড়া—৩৯ বলে ৫৬ রানের ইনিংসে ৫টি ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেন তিনি। ওই ম্যাচেই বাংলাদেশ ৯ বছর পর পাকিস্তানকে টি-টোয়েন্টিতে হারায়।

পারভেজ বললেন:“টি-টোয়েন্টি খেলতে হলে ছক্কা মারার সামর্থ্য থাকতেই হবে। আল্লাহর রহমতে আমাদের দলের সবার সেই সামর্থ্য আছে। শেষ ব্যাটসম্যান পর্যন্ত ছক্কা মারতে পারে—এটাই আমাদের শক্তি।”

তানজিদের আগুন ঝরানো শুরুও চমকপ্রদ। পাওয়ার প্লেতে তার প্রতিটি স্ট্রোকে স্পষ্ট হয়ে উঠছে আক্রমণাত্মক মেজাজ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বে এখন তার নামই আলোচনার কেন্দ্রে।

পরিসংখ্যান বলছে পরিবর্তনের গল্প

এই তালিকা দেখে বোঝা যায় না যে এটি ‘আন্ডারডগ’ বাংলাদেশের গল্প—এটি ‘ডমিনেটর’ বাংলাদেশের উত্থান।

বিশ্বকাপে বাজবে ছক্কার সুর?

বাংলাদেশ এখন শুধু প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার দল নয়, ম্যাচ নিয়ন্ত্রণের দল। ছক্কা এখন তাদের কৌশলগত অস্ত্র—যার মাধ্যমে তারা প্রতিপক্ষকে মানসিকভাবে দুর্বল করে ফেলে।

২০২৫ সালজুড়ে ছক্কা নির্ভর এই ব্যাটিং যদি এমনই থাকে, তবে বিশ্বকাপে তাদের ট্রফি জয়ের সম্ভাবনাও খুব একটা দূরে নয়। কারণ বর্তমান বাংলাদেশ মাঠে নামে শুধু জয় নয়—আত্মপ্রকাশের জন্য।

দল ছক্কার সংখ্যা (২০২৫)
বাংলাদেশ ৮৮
নিউজিল্যান্ড ৭১
পাকিস্তান ৬৭
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৬৪
ইংল্যান্ড ৬২

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *