রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে পুলিশের সঙ্গে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ চলছে। এ সময় পুলিশের গুলিতে দুইজন গুলিবিদ্ধসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গুলিবিদ্ধ দুজন হলেন- অটোরিকশা চালক আশরাফুল (২৫) ও দোকান কর্মচারী রিয়াদ শিকদারের (২৪)।
আজ বৃহস্পতিবার (জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে যাত্রাবাড়ী শনির আখড়া ও কাজলা এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহত অটোরিকশা চালক আশরাফুল জানান, তিনি থাকেন রায়েরবাগ এলাকায়। সকালে অটোরিকশা নিয়ে কাজে বের হন। তখন যাত্রাবাড়ী এলাকায় পুলিশের সাথে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ বাদে। পুলিশ তাদের ছাত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে এবং শটগানের গুলি চালায়। এতে অটোরিকশাচালক আশরাফুলের মুখমন্ডলে গুলিবিদ্ধ হয়।
আর আহত রিয়াদ শিকদারের (২৪) স্বজনরা জানান, পুরান ঢাকার নবাবপুরে গাড়ির পার্টসের দোকানে কাজ করেন রিয়াদ। সকালে শনির আখড়ার বাসা থেকে হেটে কাজে যাচ্ছিলেন। পথে পুলিশের শটগানের গুলিতে আহত হন তিনিও।
আহত অবস্থায় পথচারীরা তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তাদের দুজনের অবস্থায় গুরুতর বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এছাড়া যাত্রাবাড়ী জনপদ মোড়ে আন্দোলনকারীরা বিআরটিসি বাস চালক উজ্জ্বলকে (৩০) বাস থেকে নামিয়ে মারধর করে। বাসও ভাঙচুর করে।
এদিকে, চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া জানান, রিয়াদ ও আশরাফুলের মুখমন্ডল, মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তাদেরকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এর আগে বুধবার সন্ধ্যার পর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন এবং পুলিশ আক্রমণ করলে শিক্ষার্থীরাও পাল্টা আক্রমণ চালায়। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধরা মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের কাজলা অংশের টোলপ্লাজায় আগুন ধরিয়ে দেন।
যদিও রাত সোয়া ৩টার দিকে পুলিশ-র্যাব-বিজিবির যৌথ টহলের পর যাত্রাবাড়ী-শনিরআখড়া এলাকায় যান চলাচল শুরু হলেও ফের তা দখলে নেয় আন্দোলনকারীরা। বর্তমানে মহাসড়কের উভয় পাশে যান চলাচল বন্ধ আছে।
গতকাল থেকে দফায় দফায় এ সংঘর্ষে দুই বছরের এক শিশুসহ অন্তত ৬ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। একজন নিহত হয়েছেন। এদিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঢাকাসহ সারা দেশে ২২৯ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
Leave a Reply