ঢাকা থেকে দাম্মামগামী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট মাঝ আকাশ থেকে ফেরত এসেছে। বোয়িং ৭৭৭-ইআর উড়োজাহাজটিতে ছিলেন প্রায় ৪০০ যাত্রী! মাঝ আকাশে উড়তে উড়তেই যান্ত্রিক ত্রুটির সংকেত পেয়ে পাইলট দ্রুত সিদ্ধান্ত নেন ফিরে আসার।
কী ঘটেছিল আকাশে?সোমবার (২৮ জুলাই) বিকেল ৩টা ৩৩ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে বিজি-৩৪৯ ফ্লাইটটি। গন্তব্য ছিল সৌদি আরবের দাম্মাম। তবে এক ঘণ্টার মাথায়, অর্থাৎ বিকেল ৪টা ৩৩ মিনিটে বিমানটি আবার ঢাকায় অবতরণ করে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ জানায়, ফ্লাইটের ককপিটে “কেবিন প্রেসার” সংক্রান্ত বিপদ সংকেত পান পাইলট। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে তিনি ঝুঁকি না নিয়ে ফ্লাইটটি ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেন।
কী বলছে বিমান কর্তৃপক্ষ?বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ বিভাগের ব্যবস্থাপক (অতিরিক্ত দায়িত্বে) আল মাসুদ খান জানান:
“উড়োজাহাজটির কেবিন প্রেসারের একটি বিপদ সংকেত পাওয়া যায়। তাই কোনো প্রকার ঝুঁকি না নিয়ে বিমানের ক্যাপ্টেন ফিরিয়ে আনেন। পরে বিকল্প উড়োজাহাজে যাত্রীদের দাম্মাম পাঠানো হয়।”
তিনি আরও জানান, ফেরত আসা উড়োজাহাজটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সম্পূর্ণ সচল পাওয়া গেছে। রাতে সেটি দিয়ে অন্য একটি ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়েছে।
যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক?যান্ত্রিক ত্রুটির বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর যাত্রীদের মধ্যে একপ্রকার উত্তেজনা ও আতঙ্ক দেখা দেয়। তবে পাইলটের দ্রুত সিদ্ধান্ত ও বিমানের নিরাপদ অবতরণে তারা স্বস্তি প্রকাশ করেন।
কী ধরনের ত্রুটি ছিল?মূলত কেবিন প্রেসার মানে—উড়োজাহাজের ভেতরের চাপ। উচ্চতায় পৌঁছানোর পর কোনো কারণে এই চাপ কমে গেলে যাত্রীদের শ্বাসকষ্টসহ নানা জটিলতা তৈরি হতে পারে। এজন্যই এ ধরনের সংকেত পেলে তা জরুরি পরিস্থিতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
আকাশে ভেসে থাকা অবস্থায় যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়লে তা যে কতটা বড় ঝুঁকি হয়ে উঠতে পারে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এই ঘটনায় বিমানের পাইলটের দ্রুত সাড়া ও সিদ্ধান্ত অনেক বড় দুর্ঘটনা এড়াতে সাহায্য করেছে। একেই বলে দক্ষতা ও পেশাদারিত্ব।
Leave a Reply