আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের গোপনে প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিযোগে সেনা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে মেজর সাদিকুল হক, যিনি সাধারণত মেজর সাদিক নামেই পরিচিত।
তথ্যমতে, তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর রামু ক্যান্টনমেন্টে (কক্সবাজার) কর্মরত ছিলেন। সাম্প্রতিক সময় পর্যন্ত তিনি একটি স্পর্শকাতর ইউনিটে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং নিরাপত্তা ও প্রশিক্ষণ–সংক্রান্ত বিষয়ে তার অভিজ্ঞতা ছিল উল্লেখযোগ্য।
ব্যক্তিগত জীবন:
সম্পূর্ণ নাম: সাদিকুল হক সাদিক
পদবী: মেজর (বাংলাদেশ সেনাবাহিনী)
কর্মস্থল: রামু ক্যান্টনমেন্ট, কক্সবাজার
পারিবারিক অবস্থা: বিবাহিত
স্ত্রী: সুমাইয়া জাফরিন (সহকারী পুলিশ সুপার – এএসপি)
গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যমতে, তার স্ত্রী সুমাইয়াও এই প্রশিক্ষণ পরিকল্পনায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। দুজনেই একসময় কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন এবং সেই সময়ই ঢাকায় গোপনে নেতাকর্মীদের প্রশিক্ষণের আয়োজন করেন বলে অভিযোগ।
মেজর সাদিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায়—বিশেষ করে মিরপুর, ভাটারা, কাটাবন ও পূর্বাচলে—আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নির্বাচিত নেতাকর্মীদের গোপন প্রশিক্ষণ দেন। এসব প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য ছিল শেখ হাসিনার ‘প্রত্যাবর্তন’ নিশ্চিত করতে সংগঠিতভাবে রাজপথে নামা ও আন্দোলনের প্রস্তুতি নেওয়া।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা ও কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার দায়ে পৃথক দুটি তদন্ত আদালত গঠন করা হয়েছে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর প্রচলিত আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply