ভোটে কারচুপির অভিযোগে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ের অভিমুখে বিরোধীদলীয় প্রায় ৩০০ এমপির বিক্ষোভ মিছিল ঘিরে নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। রাহুল গান্ধী নেতৃত্বাধীন এই বিক্ষোভ মিছিলে বাধা দেয় পুলিশ। পরে রাহুল গান্ধী ও তার বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীসহ কয়েকজন বিরোধীদলীয় এমপিকে দিল্লি পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক দল তৃণমূল কংগ্রেসের অন্তত দুজন এমপি জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যান। পরে রাহুল গান্ধীসহ অন্যান্য এমপিরা তাদের সহায়তায় এগিয়ে আসেন এবং গাড়িতে তুলে হাসপাতালের উদ্দেশে পাঠিয়ে দেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দিল্লিতে সংসদ ভবন এলাকা থেকে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশন অভিমুখী বিক্ষোভ মিছিল মাঝপথে থামিয়ে দেয় পুলিশ। এ সময় বিক্ষোভে অংশ নেওয়া বিরোধীদলীয় এমপি অখিলেশ যাদবসহ অনেকে পুলিশের ব্যারিকেড টপকে সামনে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
সরকারের বিরুদ্ধে ‘ভোট চোর, গদি চোর’সহ বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি ও অবস্থান ধর্মঘটের মাঝেই তৃণমূল কংগ্রেসের দুই এমপি মহুয়া মৈত্র ও মিতালি বাগ অজ্ঞান হয়ে পড়েন।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া এমপিরা পানি ও প্রাথমিক চিকিৎসার মাধ্যমে তাদের সুস্থ করার চেষ্টা করেন। পরে মিতালি বাগকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
দিল্লিতে এই বিক্ষোভে অংশ নেওয়া লোকসভার বিরোধী দলের নেতা রাহুল গান্ধী ও তার বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীসহ কয়েকজন এমপিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারের পর রাহুল গান্ধী বলেন, এই লড়াই রাজনৈতিক নয়, সংবিধান রক্ষার জন্য। তিনি বলেন, সত্য পুরো দেশের সামনে। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, জনগণের ভোটাধিকারের সুরক্ষার জন্য গণতান্ত্রিক অধিকার চুরির বিরুদ্ধে এই লড়াই চলবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, বিজেপির কাপুরুষোচিত একনায়কতন্ত্র আর চলবে না।
Leave a Reply