দেশব্যাপী ভূমি ব্যবস্থাপনাকে আধুনিক ও স্বচ্ছ করতে সরকার নামজারি কার্যক্রমে অটোমেশন সিস্টেম চালু করেছে। ইতোমধ্যে নোয়াখালী জেলায় পরীক্ষামূলকভাবে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন মাননীয় ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ধাপে ধাপে সমগ্র বাংলাদেশে অটোমেটেড নামজারি কার্যক্রম চালু হবে। তবে নতুন এই ব্যবস্থার ফলে দুই শ্রেণীর জমির মালিক এখন বড় ধরনের ঝুঁকির মধ্যে পড়েছেন।
কারা ঝুঁকিতে আছেন?
১. দলিল অনুযায়ী মালিকরা – যারা ক্রয়সূত্রে জমির মালিকানা অর্জন করেছেন কিন্তু এখনও নামজারি করেননি। এ ক্ষেত্রে যদি দলিলে কোনো তথ্যগত ভুল থাকে (দাগ নম্বর, চৌহদ্দি, মালিকানা ধারাবিবরণী বা সাক্ষীর তথ্য) তবে নামজারি প্রক্রিয়া আটকে যাবে। অটোমেশন সিস্টেম চালু হওয়ার পর পুরনো দলিল ব্যবহার করে আর নামজারি করা যাবে না।
২. উত্তরাধিকারসূত্রে মালিকরা – যারা ওয়ারিশান সূত্রে জমি পেয়েছেন কিন্তু এখনও নামজারি করেননি। নামজারি করার জন্য বণ্টননামা দলিল বা ওয়ারিশান সনদ প্রয়োজন। এক্ষেত্রে সব ওয়ারিশের সম্মতি জরুরি। সরকার জানিয়েছে, বণ্টননামা সংক্রান্ত মামলা এখন ১–২ বছরের মধ্যে নিষ্পত্তি হচ্ছে। তবে অটোমেশন চালু হওয়ার পর যৌথভাবে আবেদন করলেও আর নামজারি সম্ভব হবে না।
সরকারের সতর্কবার্তা
অটোমেশন সিস্টেম চালু হওয়ার পর পুরনো অসম্পন্ন দলিল বা উত্তরাধিকারসূত্রে জমির মালিকরা আর নামজারি করতে পারবেন না। এ কারণে তারা জমির বৈধ মালিকানার স্বীকৃতি হারাতে পারেন।
ভূমি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেসব জমির নামজারি এখনো সম্পন্ন হয়নি, মালিকদের দ্রুত অনলাইনে আবেদন করতে হবে। land.gov.bd পোর্টালের মাধ্যমে সহজেই নির্ধারিত ফি দিয়ে নামজারি করা সম্ভব।
অটোমেশন সিস্টেম চালু হওয়ার আগে ক্রয়কৃত বা উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত জমির মালিকদের দ্রুত নামজারি করে নিতে হবে। অন্যথায় ভবিষ্যতে জমির বৈধ মালিকানার দাবিও তারা করতে পারবেন না।
Leave a Reply