আধুনিক জীবনযাত্রার কারণে আমাদের শরীরে যে রোগগুলো বাসা বাঁধছে, তার মধ্যে অন্যতম হলো উচ্চ কোলেস্টেরল। রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে তা আমাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে কিছু সতর্কবার্তা পাঠায়, যা আমরা প্রায়শই সাধারণ ব্যথা ভেবে এড়িয়ে যাই। সময়মতো এই লক্ষণগুলো চিনতে পারলে গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়ানো সম্ভব।
উচ্চ কোলেস্টেরলের অন্যতম প্রধান লক্ষণ হলো পায়ে ব্যথা বা ক্র্যাম্প অনুভব করা। হাঁটাচলার সময় বা বিশ্রামের সময় পায়ে ভারিভাব বা খিঁচুনি অনুভব হলে তা উচ্চ কোলেস্টেরলের কারণে ধমনীতে রক্ত প্রবাহ কমে যাওয়ার একটি ইঙ্গিত হতে পারে।
এছাড়া, বুকে ব্যথা বা চাপ অনুভব করাও একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ। যখন ধমনীতে কোলেস্টেরল জমতে শুরু করে, তখন বুকে জ্বালাপোড়া বা চাপ অনুভব হতে পারে, যা হার্ট অ্যাটাক বা করোনারি আর্টারি ডিজিজের লক্ষণও হতে পারে।
শরীরের উপরের অংশে, যেমন গলা, চোয়াল বা কাঁধে ব্যথা হলেও সতর্ক হওয়া উচিত। রক্ত প্রবাহ কমে গেলে এই অংশগুলোতে অস্বাভাবিক ব্যথা বা শক্তভাব অনুভব হতে পারে, যা আমরা প্রায়শই পেশি ব্যথা ভেবে উপেক্ষা করি।
হাত-পায়ে অসাড়তা, ঝিনঝিন করা বা ঠান্ডা অনুভব হওয়াও উচ্চ কোলেস্টেরলের লক্ষণ হতে পারে। কিছু মানুষের ক্ষেত্রে পায়ে নীলচে ভাবও দেখা যায়। সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় দ্রুত হাঁপিয়ে যাওয়া বা ক্লান্ত হয়ে যাওয়াও কোলেস্টেরল বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়।
চোখের চারপাশে হলুদ বলয় বা হলদে ভাব তৈরি হওয়াও একটি সুস্পষ্ট লক্ষণ। এটি ইঙ্গিত দেয় যে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বিপদসীমা অতিক্রম করছে। এই ধরনের কোনো লক্ষণ দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা এবং প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করানো জরুরি। সময়মতো পদক্ষেপ নিলে এই পরিস্থিতিকে গুরুতর হতে দেওয়া সম্ভব।
সূত্র: এবিপি লাইভ
Leave a Reply