ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে কী লিখেছিলেন আ.লীগ নেতা রাজ্জাকের ছেলে!

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে বুধবার মতবিনিময় সভা ডেকেছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সভার সময় বুধবার বেলা ১১টায় থাকলেও সকাল থেকেই কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপস্থিত হন ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা। বেলা সোয়া ১১টার দিকে সভাস্থলে উপস্থিত হন ওবায়দুল কাদের। ততক্ষণে কয়েকশ ছাত্রনেতা সভাস্থলে বসে ছিলেন। তাদের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা বা মতবিনিময় না করেই গণমাধ্যমের সামনে বক্তব্য দিতে শুরু করেন ওবায়দুল কাদের। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রথমে নিজেদের মধ্যে কথা বলতে থাকেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা, পরে যা হট্টগোলে রূপ নেয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। তার ছেলের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্ট নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন তিনি। তাকে ঘিরে ‘আপনি এখানে কেন’-প্রশ্ন তুলে হই-হুল্লোড় করেন কিছু ছাত্র নেতা।

রাজ্জাকের বড় ছেলে রেজুয়ান শাহরিয়াম সুমিত ফেসবুকে কোটা আন্দোলন ইস্যুতে ছাত্রলীগকে আক্রমণ করে গত ১৭ জুলাই পোস্ট করেন।

সেখানে তিনি লেখেন, ‘এরা (ছাত্রলীগ) বুক ফুলিয়ে যতই ‘জয় বাংলা’ বলে চেঁচাক, ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে ২০২৪ এর আজকের এই ছাত্রলীগের কোনো ধরনের সম্পর্ক আছে বলে আমি মনে করি না। আজ এরা চেতনাহীন, পথভ্রষ্ট, অর্থলোভী পঙ্গপাল ছাড়া কিছুই নয়। আন্দোলনরত ছাত্রদের সঙ্গে আলোচনায় না গিয়ে এই পঙ্গপাল বাহিনী লেলিয়ে দেওয়া কোন আদর্শের রাজনীতি- আমি জানি না, তবে বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি বা দর্শনের সঙ্গে তার কোনো মিল নেই, তা ঢের বলতে পারি। এই পঙ্গপাল পুষতে পুষতে কবে গোটা জাতিই চেতনাহীন, পথভ্রষ্ট, ও অর্থলোভী হয়ে যায়!’

ওই স্ট্যাট্যাসে রাজ্জাকপুত্র কবি শামসুর রাহমানের একটি কবিতার লাইন জুড়ে দেন- ‘রাজু, তুমি মেধার রশ্মি-ঝরানো চোখ মেলে তাকাও তোমার জাগরণ আমাদের প্রাণের স্পন্দনের মতোই প্রয়োজন।’

এদিকে সুমিতের ফেসবুক আইডিতে গিয়ে তার ছাত্রলীগবিরোধী পোস্টটি পাওয়া যায়নি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্ট্যাট্যাসটি দেওয়ার পর ফেসবুক থেকে সরিয়ে ফেলেন তিনি। তবে স্ট্যাটাসের একটি স্ক্রিনশট যুগান্তরের হাতে এসেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *