ভাল ঘুমের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ প্রয়োজন। কারও কারও ক্ষেত্রে দেখা যায়, সোফায় বসে থাকা অবস্থায় সহজেই ঘুম চলে আসে। কিন্তু একই ব্যক্তি বিছানায় শুয়ে থাকলে ঘুমোতে দেরি হয়। এর নেপথ্যে রয়েছে বৈজ্ঞানিক ব্যখ্যা।
সোফা
মনস্তাত্ত্বিক দিক থেকে সোফাকে সকলেই বিশ্রামস্থল হিসেবে চেনেন। অন্য দিকে, বিছানার সঙ্গে রাতের ঘুমের যোগ রয়েছে। সোফায় বেশি ক্ষণ বসে বিশ্রামের ফলে দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ শিথিল হয়ে আসে। নেপথ্যে থাকে সোফার নরম গদি। তাই অনেকেই সোফায় বসে দিবানিদ্রা যান। পাশাপাশি, সোফা মানবদেহের গঠনকে বৈজ্ঞানিক ভাবে সাপোর্ট করতে পারে। তাই সোফায় বসলে কারও কারও অজান্তে ঢুলুনি আসতে পারে।
বিছানা
এ বারে আসা যাক বিছানার প্রসঙ্গে। দিনের মধ্যে শেষ গন্তব্য হিসাবে মস্তিষ্কের সঙ্গে রাতের বিছানার যোগসূত্র। চিকিৎসকদের মতে, অনেক সময় ক্লান্তি এবং উদ্বেগ পরস্পরবিরোধী হতে পারে। তার ফলে ঘুমের উপযুক্ত পরিবেশেও অনিদ্রার সমস্যা তৈরি হতে পারে। রাতে শুতে যাওয়ার আগে সারা দিনের কাজকর্ম বা পরের দিনের কাজের চিন্তা মাথায় ভিড় করতে পারে। ফলে মনও ভরাক্রান্ত হয়। তার ফলে ঘুম আসতে দেরি হয়। তাই খুব ব্যস্ত দিনের পর অনেকের ঘুমোতে সমস্যা হয়।
উল্লেখ্য, মানবদেহের ঘুমকে নিয়ন্ত্রণ করে ‘সারকাডিয়ান সাইক্ল’ বা দেহের ‘ঘড়ি’। আবার অনেক সময়ে দেহে হরমোনের (যেমন মেলাটোনিন) তারতম্যের ফলেও ঘুম বিঘ্নিত হতে পারে।
Leave a Reply