free tracking

জামায়াতকে চিতাবাঘের সাথে তুলনা করে যে ইঙ্গিত দিলো ভারত!

স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো অষ্টম ডাকসু নির্বাচনে বিপুল ব্যবধানে জয় পেয়েছে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’। অতীতে কখনোই প্রতিদ্বন্দ্বিতার কাছাকাছি যেতে না পারা সংগঠনটির এই অভূতপূর্ব সাফল্য রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

ডাকসু নির্বাচনকে বাংলাদেশের দ্বিতীয় জাতীয় নির্বাচন হিসেবে দেখা হয়, যার প্রভাব জাতীয় রাজনীতিতেও পড়ে। তাই শিবির সমর্থিত প্যানেলের এই জয়ে নড়েচড়ে বসেছে ভারত। নয়া দিল্লির রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক মহল প্রকাশ্যেই উদ্বেগ জানিয়েছে।

সম্প্রতি ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও ঢাকায় নিযুক্ত সাবেক হাই কমিশনার হর্ষবর্ধন শৃংলা আন্তর্জাতিক ইন্ডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক আলোচনায় বলেন—“জামায়াত ইসলামী একটি চিতাবাঘ, যেটি কখনো তার অবস্থান পরিবর্তন করে না।” তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে জামায়াত ইসলামী ভালো করতে পারে, যা ভারতের জন্য অস্বস্তির কারণ হবে।

শৃংলা আরও বলেন, ভারতের নীতি হলো প্রতিবেশীদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা। তবে যেসব দেশের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত রয়েছে, সেসব দেশের ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ বলে কিছু থাকে না। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি তাই ভারতের জন্য সরাসরি গুরুত্বপূর্ণ।

জামায়াত ইসলামীকে তিনি মুসলিম ব্রাদারহুডের অংশ হিসেবেও অভিহিত করেন এবং দাবি করেন—“জামায়াতের হাতে রক্ত রয়েছে, মুক্তিযুদ্ধে তারা পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগিতা করেছিল। মুসলিম ব্রাদারহুড যেমন মিশর, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশে সক্রিয়, বাংলাদেশেও তারা একই অবস্থানে আছে।”

শৃংলা অভিযোগ করেন, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত এলাকায় পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার কার্যক্রমও বেড়েছে, যা ভারতের নিরাপত্তার জন্য শঙ্কাজনক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *