যে কারণে এতদিন নীরব ছিলেন, সাহস করে এবার আসল কারণ জানালেন তাসনিয়া ফারিণ!

কোটা সংস্কারের আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। শনিবার (৩ আগস্ট) বিকেল ৩টার পর সংগীতশিল্পী ও সংগীত অনুরাগীরা রবীন্দ্র সরোবরে জড়ো হতে থাকেন। এরপর তারা র‍্যালি করে শহীদ মিনারের উদ্দেশে যাত্রা করেন। কিন্তু জনপ্রিয় অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণকে এই তালিকায় দেখা যায়নি। তবে গতকাল শনিবার (৩ আগস্ট) তাকে ফেসবুকে পোস্ট দিতে দেখা গেছে।

অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ শনিবার (৩ আগস্ট) রাতে ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের কাছে ক্ষমা চান।

সেই পোস্টে ফারিণ লেখেন, ‘এতগুলো দিন পার হয়ে যাওয়ার পর আমার কিছু বলা বা না বলাতে কিছু আসে যায় না। তবু মনে হচ্ছে আমার চুপ থাকাটাকে নিজের কাছে নিজের সহ্য হচ্ছে না।’

তিনি আরও লেখেন, ‘আমি আমার নিজের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে নীরব ছিলাম। সাহসের অভাবে নীরব ছিলাম। নিজের স্বার্থের চেয়ে দেশের স্বার্থকে বড় করে দেখতে পারিনি। এ ব্যর্থতার দায় সম্পূর্ণ আমার। গা বাঁচিয়ে একটা দায়সারা বক্তব্য প্রদান করার চেয়ে আমার নীরব থাকাকে শ্রেয় মনে হয়েছে।’

‘আজকে যখন হাজার হাজার মানুষ নিজের নিরাপত্তার কথা চিন্তা না করে শহীদ মিনারে জড়ো হলো, ভবিষ্যতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার তাগিদে, তখন নিজের বাসায় বসে নিজের নিরাপত্তার কথা ভাবাটাই হাস্যকর। কারো কোনো সাহায্য সহযোগিতা ছাড়া আপনারা সাধারণ মানুষ যারা এত সুন্দর করে দেশ সংস্কারের কাজ করে যাচ্ছেন তারাই আসল সেলিব্রিটি। আমার মতো স্বার্থপর মানুষদের অনেক কিছু শেখার আছে আপনাদের থেকে। হয়ত একদিন আপনাদের মতো আমারও সাহস হবে, কোনো কিছু লিখতে বলতে গিয়ে দশ বার ভাবতে হবে না। এখনও অনেক কথা লিখতে গিয়ে বারবার মুছে ফেলছি।’

পোস্টের শেষে ফারিণ বলেন, ‘আপনাদের মনে কষ্ট দিয়েছি। আমি ক্ষমাপ্রার্থী। বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে চাই গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হোক। কেউ পারলে আপনারাই পারবেন।’

No description available.

উল্লেখ্য, শনিবার (৩ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার মন্ত্রিসভার পদত্যাগের একদফা দাবি ঘোষণা করে রোববার থেকে সারা দেশে অসহযোগ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়া হয়। এদিকে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আজ রোববার থেকে রাজপথে অবস্থান নেয়া এবং পুরো আগস্ট জুড়ে রাজপথে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *