জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে গত সিরিজে ভালো পারফর্ম করতে পারেননি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। সিরিজ জিতলেও ব্যাটসম্যানরা তাদের পারফরম্যান্সে প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। বিশেষ করে লিটন দাস, এবং নাজমুল হুসেইন শান্ত নিয়মিত টপ অর্ডার করতে ব্যর্থ হন।
সেই সিরিজের পর বাংলাদেশি দল এখন যুক্তরাষ্ট্রে। সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে স্বাগতিকদের কাছে হেরেছে বাংলাদেশ। এই হারের পর ঘরের মাটিতে জিম্বাবুয়ে সিরিজে বাজে উইকেটে খেলার অজুহাত তুললেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের প্রধান নাইমুর রহমান দুর্জয় এই যুক্তির সঙ্গে একমত নন।
হোম কন্ডিশনে, প্রতিটি দল তার সুবিধা অনুযায়ী উইকেট নেয়। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। দুর্জয় বলেন, জিম্বাবুয়ে সিরিজে দলের চাহিদা অনুযায়ী উইকেট তৈরি করা হয়েছে। তাই এই অজুহাতের কোন অবকাশ নেই।
বুধবার গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেছেন, ‘বিদেশ গিয়ে উইকেটের অজুহাত দেয়া হচ্ছে। দেশে আমরা যেভাবে উইকেট বানিয়ে দেই, সবাই হোম কন্ডিশনের সুবিধা নেয়। দলের চাওয়া থেকেই কিন্তু করা হয়। চাহিদাটা তো দল থেকেই আসে। এখন উইকেটের দোহাই দিলে তো আমরা মানতে পারি না। এই অজুহাত কিন্তু গ্রহণযোগ্য না।’
যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে বাংলাদেশ হারায় খারাপ লাগছে দুর্জয়ের। তবে বাংলাদেশ দলের কাছ থেকে ভালো পারফরম্যান্স আশা করেন তিনি। এই ম্যাচেও বাংলাদেশ বেশ ভালো অবস্থানেই ছিল বলে ধারণা সাবেক এই টাইগার অধিনায়কের। অবশ্য বিশ্বকাপের ম্যাচ না হওয়ায় এই হারে দুশ্চিন্তার কিছু নেই বলেই মনে করেন দুর্জয়।
তিনি বলেছেন, ‘দৃষ্টিকোণ সবার মতো একই। বোর্ড ডিরেক্টর হিসেবে যেমন খারাপ লাগে, সাবেক অধিনায়ক হিসেবেও তেমন লাগে। বাংলাদেশের সবারই খারাপ লাগে বাংলাদেশ হারলে। আমি চাই বাংলাদেশ ভালো খেলুক। খেলাটা ভালো লাগেনি। আমরা জেতার পর্যায়ে ছিলাম। মেইন অ্যাসাইনমেন্ট কিন্তু আমাদের বিশ্বকাপ।’
যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচ শেষ করে বিশ্বকাপের দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এরপর বিশ্বকাপের মূল আসরে মাঠে নামবে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কাছ থেকে ভালো পারফরম্যান্স চাওয়া দুর্জয়ের। এ কারণে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে হারলেও বাংলাদেশ দলের পাশে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
এইচপি চেয়ারম্যান বলেছেন, ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যদি আমরা ভালো পারফরম্যান্স করি তাহলে আমরা এসব ভুলে যাব। এখন সমালোচনা করা খুব দ্রুত হয়ে যাবে। বিশ্বকাপে যেন ভালো করে তাহলে আমরা পাশে থাকব, পাশে থাকতে চাই। আমাদের বিশ্বাস আছে বাংলাদেশ ভালো করবে।’
Leave a Reply