বিজয় সরণি মোড়ে এই ভাস্কর্যটি ঘিরে স্থানটির নাম দেওয়া হয় ‘মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ’ যা ২০২৩ সালে ১০ নভেম্বর উদ্বোধন করা হয়েছিল।
সরকারের পতনের পর বিজয় সরণি মোড়ে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণে’বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যটি ভাঙচুর করে একদল মানুষ।
শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে দেশ ছাড়ার পরপর গণভবনে মানুষ ঢুকে পড়ার পর সেখানে লুটপাটের পাশাপাশি বিজয় সরণি মোড়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যও ভাঙচুর করা হয়েছে।
দুপুরে প্রধানমন্ত্রী দেশ ছেড়ে যাওয়ার ঘণ্টা খানেকের মধ্যে সোমবার বিকাল ৩টার পরে গণভবনে প্রবেশ করে শত শত মানুষ।
এছাড়া গণভবন থেকে নামিদামি জিনিসপত্র, টেলিভিশন, ফুলের টব, হাঁস, বালতি, মাছ, মাংস নিয়েও বের হতেও দেখা গেছে।
বিজয় সরণি মোড়েও উল্লাস করতে দেখা গেছে অনেককে। এর মধ্যে কয়েকজন মোড়ে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুর করতে শুরু করে।
ভাস্কর্যের চশমার কিছুটা অংশ ভেঙে ফেলতে দেখা গেছে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের পর্দায়। পরে ভাস্কর্যের মুখের অংশ ভেঙে নিয়ে যেতে দেখা যায়।
এই ভাস্কর্যটি ঘিরে স্থানটির নাম দেওয়া হয় ‘মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ’ যা ২০২৩ সালে ১০ নভেম্বর উদ্বোধন করা হয়েছিল।
এই চত্বরে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপন করা ছাড়াও দেয়ালে ম্যুরালও স্থান পেয়েছে। চত্বরটি নির্মাণের দায়িত্বে ছিল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
চত্বরের সাতটি দেয়ালে ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে অন্যান্য আন্দোলন এবং বাঙালির মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সংগ্রামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্ব ও অবদান চিত্রিত করা হয়েছে।
Leave a Reply